img

নির্বাচন কীভাবে করবেন তা নিয়ে নিজেরা বসুন, রাজনৈতিক নেতাদের ড. ইউনূস

প্রকাশিত :  ১৮:৩৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচন কীভাবে করবেন তা নিয়ে নিজেরা বসুন, রাজনৈতিক নেতাদের ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজ ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা যেরকম সনদ করলাম, তেমনি রাজনীতির ব্যাপারে, নির্বাচনের ব্যাপারে আপনারা রাজনৈতিক নেতারা বসে একটা সনদ করুন- কীভাবে নির্বাচন করবেন। 

যেমন-তেমন করে নির্বাচন করলে তো আবার পুরোনো জায়গায় ফিরে যাওয়া। এতকিছু করে লাভটা কী হলো তাহলে? এই কথা লিখে আমার লাভ কী হলো? কথা লিখলাম, কথা মানলাম না, কাজের মধ্যে গিয়ে মানলাম না। কাজেই আমার অনুরোধ, আপনারা আবার ঐকমত্য কমিশন বলেন, কমিটি বলেন, নিজেরা বসুন- নির্বাচনটা কীভাবে সুন্দরভাবে করবেন, উৎসবমুখর করবেন, ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখবেন।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই জাতীয় সনদ সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সুর, যে সুর আজকে আমরা এখানে বাজালাম, সেই সুর নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ঐক্যের সুর। ঐক্যের সুর দিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং এই ঐক্য যেন বজায় থাকে।  

ড. ইউনূস বলেন, এই সনদের মাধ্যমে আমরা আরেকটা বড় কাজ করলাম। আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতায় এলাম। আমরা এক বর্বর জগতে ছিলাম, যেখানে আইন-কানুন ছিল না। মানুষের যা ইচ্ছা তা করতে পারত। এখন আমরা সভ্যতায় এলাম এবং এমন সভ্যতা আমরা গড়ে তুলব, মানুষ বিস্ময় চোখে আমাদেরকে দেখবে। কাজেই সেটা এখন আমাদের পরবর্তী জীবন- এই সনদ-পরবর্তী জীবন আমরা কীভাবে গঠন করব, তার উপর নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা আমাদের যে সম্পদ আছে, যেটা আমরা ব্যবহার করতে পারিনি। আমি বারে বারে যেটার কথা উল্লেখ করি- এটা হলো বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগর আমাদেরই অঞ্চল, আমাদেরই বাংলাদেশের অংশ। কোনোদিন আমরা খেয়াল করে দেখি নাই এই অংশে আমরা কী করি। এই অংশ অত্যন্ত সম্পদশালী অংশ। আমরা বলছি যে এটা আমরা পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই, সম্পদকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আর তর্ক-বিতর্কের মধ্যে থাকতে চাই না। সেজন্যই আজকে সনদ হলো। এই সনদ তর্ক-বিতর্কের অবসান করবে। আমরা নিয়মমতো চলে যাবো। আমরা এখন নিয়ম মাফিক চলার জন্য তৈরি হয়েছি।

তিনি বলেন, আমি বারবার বলছি যে, আমরা যদি সমুদ্র বন্দর করে দিই, তাহলে সারা দুনিয়ার জাহাজ আমাদের বন্দরে ভিড়তে বাধ্য হবে। আমাদের পণ্য সিঙ্গাপুরে খালাস করে দিয়ে চলে যেতে হবে না। অন্য দেশের পণ্য সিঙ্গাপুরে খালাস করে দিয়ে যেতে হবে না। আমার দুয়ার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারবে এবং অন্যান্য দেশের যারা সুযোগ দিতে পারবে না, তাদের পণ্য এখানে দেওয়া যাবে। আমাদের এখান থেকে তারা নিয়ে যাবে। কাজেই এটা একটা বিরাট সুযোগ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় যদি আমরা মাতারবাড়ি, কক্সবাজার, মহেশখালী সবকিছু মিলিয়ে একযোগে বন্দর উন্নত করি, তাহলে পুরো এলাকা নতুন সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে। এটা নির্ঘাত। এটার থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না। সব দেশের মানুষ এখানে আসবে। আমরা আমাদের অর্থনীতির অংশ হিসেবে আঞ্চলিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি। আমরা নেপালে, ভুটানে, সেভেন সিস্টারসে- তাদের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি শুধু এই বন্দরের কারণে, এই যোগাযোগের কারণে। তারাও সমৃদ্ধ হবে, আমরাও সমৃদ্ধ হবো। কাজেই এই সুযোগগুলো আছে, যদি আমরা পথমত ঠিকমতো চলতে পারি।

img

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি ছাত্রদল নেতা নিহত

প্রকাশিত :  ১৭:৩৮, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৪৩, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

জুবায়েদ হোসাইন নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে । আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে টিউশনিতে যাওয়ার পথে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় এ ঘটনা ঘটে।

জুবায়েদ হোসাইন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। 

আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে টিউশনি করতে যাওয়া বাসার সিঁড়িতে জুবায়েদের লাশ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে জুবায়েদ। এখনো মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। এখনো কারণ জানা যায়নি। খুবই বেদনাদায়ক এটি। পুলিশকে সকল সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে বলেছি। আমি স্পটে যাচ্ছি।’

জাতীয় এর আরও খবর