img

আপিল বিভাগে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা সচিবের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত :  ০৫:০১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আপিল বিভাগে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা সচিবের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আপিল বিভাগ তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওদিন পরবর্তী শুনানি হবে।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আইজি প্রিজন্স ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবকে তলব করেন আপিল বিভাগ। তারা হলেন– আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল। বিবাদীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।

পরে ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের রায়ে ছয় জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ছয় জন হলেন– মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও মো. নুরুননবী ভূঁইয়া।

দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর পদোন্নতির রায় বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের দুই সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ।

আইনজীবী জানান, দুই সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানিতে বিবাদীদের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আবেদনকারীদের পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ নেই। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তাদের তলব করেন।


জাতীয় এর আরও খবর

img

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত :  ০৫:২০, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬ (২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।


জাতীয় এর আরও খবর