img

অনশনের পর এবার কমপ্লিট শাটডাউন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ০৫:৪৪, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

অনশনের পর এবার কমপ্লিট শাটডাউন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন করছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবার ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন বিভাগে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ একাধিক ভবনে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। তারা জানান, শিক্ষার্থীরা অনশন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে রাতে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘শাটডাউন’-এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ বিভাগের প্রধা ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝোলানোর কারণে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো প্রকার যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য,যে তিন দফা দাবি নিয়ে জবি শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেছেন, সেগুলো হলো- ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীক আবাসন ভাতা দিতে হবে।


শিক্ষা এর আরও খবর

কুয়েট উপাচার্য ইস্যু

img

সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত :  ০৫:৪৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে আজ (২৩ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। কর্মসূচিতে বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), কুয়েট, ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মুসাদ্দিক বলেন, আজ দেশের কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যাবে না। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের মাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।

এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা ‘এক দুই তিন চার, মাসুদ তুই গদি ছাড়’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে না’—এইসব স্লোগানে মুখর করে তোলে রাজপথ। টানা এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট শাহবাগ অবরোধের পর রাত ১২টা ১৫ মিনিটে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন তারা।

এ সময় কুয়েট শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অনশনে বসবেন। এই আন্দোলন স্বৈরাচারদের জন্য একটি বার্তা হয়ে থাকবে। আমরা চাই, ‘জুলাইয়ের স্পিরিট’ বজায় থাকুক—কুয়েট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক।

বুয়েটের শিক্ষার্থী আব্দুন নুর তুষার বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৩৬ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছেন। আমরা এখন ক্লাসে গিয়ে বসতে পারি না। আজ প্রতিটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হোক। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক।

চুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, এত শিক্ষার্থী আন্দোলনে নেমেছে, অথচ এখনো কুয়েট প্রশাসন কিংবা অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জবির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার ভাইবোনরা যখন অনশনে, তখন কুয়েটের দালাল ভিসি বলছেন, আমরা আলোচনা চাই। আমাদের এক দফা—তার পদত্যাগ।

এদিকে, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল নেতাকর্মী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের অনশন চলমান।