
বদরুন্নেসা'র অধ্যাপক ‘মনির হোসেন’কে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নারী সংগীত শিল্পী বিলকিস ইসলাম ছন্দা\'কে মারধর ও হেনস্থাকারী বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক মনির হোসেন ও তার সহযোগী ফেরদৌসকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেনন শিল্পী বিলকিস ইসলাম ছন্দা।
আজ বুধবার (০৭ মে) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে সকাল ১১:৩০ টায় শিক্ষকের ছদ্মাবরণে নির্যাতক, মাস্তান মনির হোসেনকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সংগীত শিল্পী বিলকিস ইসলাম ছন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী বলেন, আমি বিলকিস ইসলাম ছন্দা, একজন সঙ্গীত শিল্পী। রামপুরা ওয়াবদা রোডের একটি ভবনের ফ্লাটে আমি বসবাস করে আসছি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। সম্প্রতি ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের অধ্যাপক মনির হোসেন। পেশায় তিনি শিক্ষক হলেও তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের নানা অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে আমাকে এবং ওই ভবনের অনেককে নাজেহাল করে আসছেন মনির । আওয়ামী লীগ আমলে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ভবনের নিচে গোপন বৈঠকে মিলিত হতেন। তার এসব কর্মকান্ডে বাধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন মনির। ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে আমাদের গাড়ি রাখার নির্ধারিত স্থান থাকলেও তিনি সেখানে গাড়ি রাখলে টাকা দাবি করেন। বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে মহিহলারা বের হলে তাদেরকে নানা কটুক্তি করতে থাকেন। এতে ফ্ল্যাটের অনেক ভদ্র মহিলাই বিব্রত। ভবনের প্রবেশ গেটে তাদের আড্ডাবাজি, সিগারেট খাওয়া, নানা অশালীন মন্তব্য সবাই শুনতে পায়। বিসিএসধারী একজন শিক্ষক কিভাবে এমন আচরণ করেন তা বোধগম্য নয়।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বর গাড়ি পার্কিং নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে মনির। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আমিও হেনস্থার শিকার হই। সংঘবদ্ধ হয়ে মনিরের লোকজন আমার স্বামীর উপর এলো পাতারি মারপিট শুরু করে, বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে, যা সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। কিন্তু সুচতুর মনির সিসিটিভির ফুটেজ নিষেধ করে দেয় সিকিউরিটি গার্ডকে। নিজের অপরাধ ঢাকতেই তিনি এ কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি বিড়াল মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়েছেন এই মনির। বিড়াল মারা যাওয়ার পেছনে আমাকে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করেছে বিড়ালটির, কিন্তু কোন প্রমাণ মিলেনি। এরপরও নিজেকে বিসিএস ক্যাডার দাবি করে প্রশাসনের অনেক উচ্চ পদের লোক তার পরিচিত আছে এসব বলে ভয় ভীতি দেখায়।
আমাদের মারধরের ঘটনায় মামলা হলেও তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়া মনিরের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের দোসর ফ্যাসিস্ট মনির, ফেরদৌসসহ তাদের সহযোগিদের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি প্রধান উপদেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি শিক্ষক নামের কলঙ্ক এই নির্যাতক, মাস্তান মনিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।