
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে ২৯ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ।।

সংগ্রাম দত্ত: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ।
শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে বিজিবি জেলার কমলগঞ্জ ও সকালে জুড়ী উপজেলা থেকে তাঁদের আটক করে । আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।
শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বাগীছড়া থেকে ৫ জন ও চাম্পাছড়া এলাকা থেকে ১৪ জনকে আটক করে । আটককৃতদের মধ্যে শিশুসহ নারী-পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের বাগীছড়া বিওপি ও চাম্পাছড়া বিওপিতে রেখে তাদের তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।
বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিজিবি। তথ্য পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ভোর ৪টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা বাগীছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচজন ও সকাল ৭টার দিকে একই উপজেলার চাম্পাছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ জনকে বিজিবির টহলদল আটক করে।
প্রথম ৫ জনকে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। এই ৫ জন কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। অন্যান্যদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জুড়ী উপজেলার রাজকি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবি ১০ জনকে আটক করেছে।
বিজিবির রাজকি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল হাশেম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ১০ জনকে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর ওই ব্যক্তিদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। আটক ১০ জনের মধ্যে ৪ শিশু, ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থায় ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা জানান, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বিএসএফ ভোরের দিকে তাঁদের ঠেলে এপারে পাঠিয়েছে। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আবুল হাশেম আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা জীবিকার সন্ধানে বেশ আগে ভারতে চলে যান। সেখানে হরিয়ানা রাজ্যে তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন। গত ৯ মে সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় তাঁদের মুঠোফোন ও পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা ক্ষুধার্ত ছিলেন। ক্যাম্পে আনার পর তাঁদের খাবার দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।