img

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে ২৯ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ।।

প্রকাশিত :  ০৮:০১, ৩১ মে ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে ২৯ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ।।

সংগ্রাম দত্ত: মৌলভীবাজার জেলার  কমলগঞ্জ ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৯ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে । 

শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে বিজিবি জেলার কমলগঞ্জ ও সকালে জুড়ী উপজেলা থেকে তাঁদের আটক করে । আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।

শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বাগীছড়া থেকে ৫ জন ও চাম্পাছড়া এলাকা থেকে ১৪ জনকে আটক করে । আটককৃতদের মধ্যে শিশুসহ নারী-পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের বাগীছড়া বিওপি ও চাম্পাছড়া বিওপিতে রেখে তাদের তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।

বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিজিবি। তথ্য পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ভোর ৪টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা বাগীছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচজন ও সকাল ৭টার দিকে একই উপজেলার চাম্পাছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ জনকে বিজিবির টহলদল আটক করে।

প্রথম ৫ জনকে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। এই ৫ জন কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। অন্যান্যদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে জুড়ী  উপজেলার রাজকি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবি ১০ জনকে আটক করেছে। 

বিজিবির রাজকি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল হাশেম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই ১০ জনকে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর ওই ব্যক্তিদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। আটক ১০ জনের মধ্যে ৪ শিশু, ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থায় ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা জানান, তাঁদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বিএসএফ ভোরের দিকে তাঁদের ঠেলে এপারে পাঠিয়েছে। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আবুল হাশেম আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা জীবিকার সন্ধানে বেশ আগে ভারতে চলে যান। সেখানে হরিয়ানা রাজ্যে তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন। গত ৯ মে সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় তাঁদের মুঠোফোন ও পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা ক্ষুধার্ত ছিলেন। ক্যাম্পে আনার পর তাঁদের খাবার দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

মসজিদে ঢুকে নামাজরত ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাই আটক

প্রকাশিত :  ১৪:৫২, ১৭ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জায়গা সংক্রান্ত জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই মজিবুর রহমান (৬০) খুন হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার চরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

তবে ইতোমধ্যে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ও ঘাতক তারা দু’জনই চরগাঁও গ্রামের কামরু মুন্সির ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তার জের ধরে বুধবার বাড়ির পাশের মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান মজিবুর রহমান। তখন বড় ভাই লুৎফুর রহমান মসজিদে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আঘাত করলে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ বড় ভাইকে আটক করে। তবে মরদেহ এখন সিলেটে রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর