img

হাজার কোটির ক্লাব: নতুন দিগন্তে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি

প্রকাশিত :  ০৭:৪৭, ১৪ জুন ২০২৫

হাজার কোটির ক্লাব: নতুন দিগন্তে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ৩১টি, যা \'হাজার কোটি ক্লাব\' নামে পরিচিত। এই ৩১টির মধ্যে ২৫টি কোম্পানিই ব্যাংক খাতের। বাকি ৬টি হলো ব্যাংকবহির্ভূত বিভিন্ন খাতের উল্লেখযোগ্য কোম্পানি—কেয়া কসমেটিকস, বেস্ট হোল্ডিং,  গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, লাফার্জহোলসিম এবং সামিট পাওয়ার। এই মেগা শেয়ারগুলো দেশের শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ও গভীরতার গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

মূলধন ও ডিভিডেন্ডের চিত্র

এই ৬টি কোম্পানির মধ্যে রবি আজিয়াটার পরিশোধিত মূলধন সবচেয়ে বেশি, ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরপর রয়েছে গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, লাফার্জহোলসিমের ১ হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, কেয়া কসমেটিকসের ১ হাজার ১০২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, সামিট পাওয়ারের ১ হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বেস্ট হোল্ডিং ১ হাজার ৫৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫টিই সর্বশেষ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে। সর্বশেষ অর্থবছরের জন্য গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ ৩৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরপর লাফার্জহোলসিম ১৯ শতাংশ ক্যাশ, রবি আজিয়াটা ১৫ শতাংশ ক্যাশ এবং বেস্ট হোল্ডিং ও সামিট পাওয়ার প্রত্যেকে ১০ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, কেয়া কসমেটিকস ২০২০ সালের পর থেকে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ২ শতাংশ ক্যাশ ও ১ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।Stock market advisory services

সর্বশেষ বাজার দর

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে গ্রামীণফোনের শেয়ার, সর্বশেষ ২৮৪ টাকা ৪০ পয়সায়। এরপর রয়েছে লাফার্জহোলসিম ৪২ টাকা ৯০ পয়সায়, রবি আজিয়াটা ২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বেস্ট হোল্ডিং ১৪ টাকা ৭০ পয়সায়, সামিট পাওয়ার ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় এবং কেয়া কসমেটিকস ৪ টাকা ৭০ পয়সায়।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এই ৬টি বৃহৎ মূলধনী কোম্পানির মধ্যে একটি বাদে বাকিগুলো বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে একটি শক্তিশালী এবং বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে। ব্যাংক খাতের বাইরে এই কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি বাজারের গভীরতা বাড়াচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের পথ খুলে দিচ্ছে। তাদের নিয়মিত ডিভিডেন্ড ঘোষণা এবং বৃহৎ মূলধন কাঠামো প্রমাণ করে, এই কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য।

শেয়ারবাজারে এমন মেগা শেয়ারগুলোর উপস্থিতি বাজারের সামগ্রিক চিত্রকে আরও মজবুত করে তোলে। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই কোম্পানিগুলো দেশের শিল্পোন্নয়নে যেমন অবদান রাখছে, তেমনি বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই রিটার্নের সম্ভাবনাও তৈরি করছে, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ভবিষ্যতের জন্য একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

৫ আগস্ট সারাদেশে বন্ধ থাকবে ব্যাংক

প্রকাশিত :  ১৪:৩২, ১৭ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ কারণে সেদিন সারা দেশের তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রবল গণআন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দিনটিকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন হিসেবে দেশের সব তফশিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। অতএব, সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে এবং আর্থিক লেনদেন পরিকল্পনা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রবল গণআন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দিনটিকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন হিসেবে দেশের সব তফশিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। অতএব, সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে এবং আর্থিক লেনদেন পরিকল্পনা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্রদের আন্দোলন শেষমেশ সরকার উৎখাতের ইতিহাস গড়ে। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন সাড়ে ১৫ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে দেশ চালিয়ে আসা শেখ হাসিনা।

শুরুতে এ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

সরকারের পক্ষে জবাব ছিল- গুলি, টিয়ারশেল আর লাঠি; এককথায় কেবলই বলপ্রয়োগ। প্রথমে ফেসবুক, পরে ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার। তাতে হিতে বিপরীত হয়।

আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই লাশ আর রক্তের বোঝা মাথায় নিয়ে পতন হয় দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের। পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা আর তার অমাত্যরা।