img

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

প্রকাশিত :  ০৫:৫০, ২২ অক্টোবর ২০২৫

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ টিএফআই-জেআইসি সেলের অধীনে সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে, জামিনের আবেদন করেছেন সেনা অফিসারদের সবাই। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ১৫ কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি হবে।

ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।

দুই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ১৭ ও আরেকটিতে ১৩ জন আসামি। দুটিতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এছাড়া ২৩ সেনা কর্মকর্তার ১৫ জনই হেফাজতে রয়েছেন।

এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্টের মাজারগেট, মৎস্য ভবন, কাকরাইলসহ একাধিক স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের লক্ষ্য করা গেছে।


জাতীয় এর আরও খবর

img

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর : নাহিদ

প্রকাশিত :  ১৪:৫৮, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই জাতীয় সনদে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই সনদের কাগুজে মূল্যে আমরা বিশ্বাসী নই। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কিভাবে হবে, সেটার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই এনসিপি স্বাক্ষর করবে।

সে ক্ষেত্রে আমরা সাংবিধানিক একটি আদেশের কথা বলেছি। যে আদেশটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন।’

তিন দাবির বিষয়ে মনে করিয়ে দিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের আদেশ শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন, নোট অব ডিসেন্টের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না ও গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে—এই তিনি দাবি বিবেচনা করলে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব।’

জুলাই সনদ নিয়ে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করবেন বলে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান এনসিপির আহ্বায়ক।

জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যদের আদালতে আনা হয়েছে, এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা একটি ধাপ এগিয়েছি। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা দেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের আগে বিচারের রোড ম্যাপ দেওয়ার দাবির কথাও জানান নাহিদ ইসলাম।