img

মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে পথচারীর মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৭:২৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে পথচারীর মৃত্যু

রাজধানীর ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং (বিয়ারিং প্যাড) ছিটকে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের বয়স আনুমানিক ৩৫-৪০ বছর। তবে তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক জানান, ‘বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। তবে নাম বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় ফুটপাত দিয়ে ওই তরুণ ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিয়ারিং স্প্রিংটি ছিটকে পড়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং পাশের একটি চপ-সিঙ্গারা দোকানেও আঘাত হানে। এতে দোকানের সামনের কাঁচ ভেঙে দুইজন আহত হন। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত তরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছিটকে পড়া স্প্রিংটির ওজন প্রায় ৪০-৫০ কেজি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, ‘এ ঘটনার কারণে পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।’

এর আগেও গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়ে। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তখন গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। এ ঘটনায় দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড ছিটকে পড়েছে।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব বিয়ারিং প্যাড বসানো থাকে। প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০–১৫০ কেজি। এগুলো ছাড়া ট্রেন চললে উড়ালপথ স্থানচ্যুত হওয়া বা দেবে যাওয়া হতে পারে। তাই এই দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।

মেট্রোরেলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘ফার্মগেটের খেজুরবাগান মোড়ের নির্মাণ নকশায় ত্রুটি রয়েছে। এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও জাপানিজ ঠিকাদার তা ঠিক করেনি।’

জাতীয় এর আরও খবর

img

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের কারণ জানালেন অজিত দোভাল

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০১ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, সরকার পরিবর্তনের অন্যতম কারণ দুর্বল শাসন কাঠামো বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের পেছনে এমন দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর প্রভাব ছিল।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়া (৩১ অক্টোবর) বক্তব্যে দোভাল বলেন, রাষ্ট্র গঠন ও নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর শাসনব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু রাষ্ট্রকে তার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে না, সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করে।

দোভাল বলেন, ‘আজকের প্রশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা রাখে। তাই রাষ্ট্রেরও তার সন্তুষ্টির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি জাতির শক্তি নিহিত থাকে তার শাসন ব্যবস্থায়। সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করে, তখন জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই ব্যক্তিরা, যারা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করেন।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলকে প্রশংসা করে দোভাল বলেন, ‘ভারত এখন এক নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করছে— নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা, সমাজ কাঠামো এবং বৈশ্বিক অবস্থানে। বর্তমান সরকার প্রশাসনিক দুর্নীতি দমনে যে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন এনেছে, তা গভীর প্রভাব ফেলছে। সামনে আরও পদক্ষেপ আসতে পারে।’

ভালো শাসনের অংশ হিসেবে নারীর সুরক্ষা, সমতা ও ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দোভাল। তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন আধুনিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। শুধু ভালো আইন বা কাঠামো থাকলেই হবে না, এগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে জরুরি।’

প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দোভাল বলেন, ‘আমাদের এমন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে যা শাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসেবার দক্ষতা বাড়ায়। তবে একইসঙ্গে সাইবার হামলার মতো প্রযুক্তিনির্ভর হুমকি থেকেও সমাজকে রক্ষা করতে হবে।’


জাতীয় এর আরও খবর