img

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২,৭৬১

প্রকাশিত :  ০৭:৩০, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২,৭৬১

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারাদেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। 

তিনি জানান, মোট ৬৪টি জেলায় এই ভোটকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে মোট কক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি, যেখানে পুরুষ ভোটারদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি কক্ষ এবং মহিলাদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ রাখা হয়েছে।

অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। প্রতিটি কক্ষে গড়ে তিন হাজার ভোটার থাকবেন। এটি ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে এবং প্রয়োজন অনুসারে সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।

এখনই উল্লেখযোগ্য, ইসির খসড়া অনুযায়ী আগে ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল। এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি। তবে ভোটকেন্দ্র বেড়েছে সত্ত্বেও, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকক্ষের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি, যেখানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি।


 


জাতীয় এর আরও খবর

img

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের কারণ জানালেন অজিত দোভাল

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ০১ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, সরকার পরিবর্তনের অন্যতম কারণ দুর্বল শাসন কাঠামো বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের পেছনে এমন দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামোর প্রভাব ছিল।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়া (৩১ অক্টোবর) বক্তব্যে দোভাল বলেন, রাষ্ট্র গঠন ও নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর শাসনব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু রাষ্ট্রকে তার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে না, সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করে।

দোভাল বলেন, ‘আজকের প্রশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা রাখে। তাই রাষ্ট্রেরও তার সন্তুষ্টির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি জাতির শক্তি নিহিত থাকে তার শাসন ব্যবস্থায়। সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কাজ করে, তখন জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই ব্যক্তিরা, যারা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করেন।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলকে প্রশংসা করে দোভাল বলেন, ‘ভারত এখন এক নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করছে— নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থা, সমাজ কাঠামো এবং বৈশ্বিক অবস্থানে। বর্তমান সরকার প্রশাসনিক দুর্নীতি দমনে যে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন এনেছে, তা গভীর প্রভাব ফেলছে। সামনে আরও পদক্ষেপ আসতে পারে।’

ভালো শাসনের অংশ হিসেবে নারীর সুরক্ষা, সমতা ও ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দোভাল। তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন আধুনিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। শুধু ভালো আইন বা কাঠামো থাকলেই হবে না, এগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে জরুরি।’

প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দোভাল বলেন, ‘আমাদের এমন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে যা শাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসেবার দক্ষতা বাড়ায়। তবে একইসঙ্গে সাইবার হামলার মতো প্রযুক্তিনির্ভর হুমকি থেকেও সমাজকে রক্ষা করতে হবে।’


জাতীয় এর আরও খবর