img

৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা সরকারি সংস্থা বিএসসির

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

৫৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা সরকারি সংস্থা বিএসসির
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ নিট মুনাফা অর্জন করেছে । ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্থাটির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এটি বিগত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা বেশি। এই অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রেক্ষাপটে পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের বোট ক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী (এনডিসি), শেয়ারহোল্ডার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত দেড় বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রামে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ব্যবস্থা করেছে। বে-টার্মিনালে বিশ্বব্যাংকের ৬৮০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগে টার্মিনাল বানাবে বিদেশি কোম্পানি মার্কস লাইন, যারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জাহাজ কোম্পানি। পাশাপাশি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ কোম্পানি এমএসসি শিপিংকে পানগাঁও টার্মিনাল দেওয়া হয়েছে, যা আগে প্রতি বছর প্রায় ss২২ কোটি টাকা লোকসান করত। টার্মিনালটি চালু হলে নৌপথে পণ্য পরিবহন বাড়বে এবং চট্টগ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সার্বিক কার্যক্রম ও আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিএসসির পরিচালন আয় ছিল ৫৯০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ২০৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়।
অন্যদিকে, পরিচালন ব্যয় হয়েছে ২৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং প্রশাসনিক ও আর্থিক খাতে ব্যয় হয়েছে ১২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৪১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকায়। কর সমন্বয়ের পর নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএসসির মোট আয় ছিল ৫৯৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ২৪৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে নিট আয় বেড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বিএসসির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বিপরীতে মোট দায় ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
সভায় জানানো হয়, বিএসসির শোর এস্টাবলিশমেন্টে অনুমোদিত জনবল ১ হাজার ৫২১ জন হলেও ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অফিসে কর্মরত ছিলেন মাত্র ২২৫ জন। জাহাজে কর্মরত কর্মকর্তা ও নাবিক মিলিয়ে জনবল ছিল ১৪৭ জন। বিএসসির শোর এস্টাবলিশমেন্টে (অফিসে) অনুমোদিত জনবল ১ হাজার ৫২১ জন হলেও ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অফিসে কর্মরত ছিলেন মাত্র ২২৫ জন। জাহাজে কর্মরত কর্মকর্তা ও নাবিক মিলিয়ে জনবল ছিল ১৪৭ জন।
কমডোর মাহমুদুল মালেক আরও জানান, চীন সরকারের ঋণ সহায়তায় এরই মধ্যে ৬টি নতুন জাহাজ কেনা হয়েছে, যার মধ্যে ৫টি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কেনার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
img

একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত :  ০৮:৩৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মোট ২২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি নতুন প্রকল্প, পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প এবং তিনটি মেয়াদ বৃদ্ধি–সংক্রান্ত প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

অনুমোদিত ২২টি প্রকল্প হচ্ছে

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প, (১) ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) হতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন প্রকল্প (২) দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট সমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিডপেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প (৩) ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প : সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয়পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প নারায়ণগঞ্জস্থ আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য ৮টি ১৫ তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প, (১) ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প (২) ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (৩) ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্প (৪) ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৫) ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প: (১) ‘মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েন্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, (২) ‘সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প। 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ’।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুর্নিনির্মাণ কোনাবাড়ি, গাজীপুর (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’। 

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এনআইএএনইআর) শিক্ষা ও গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্প। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প (১) ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প, (২) ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প- (১) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলকনদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, (২) গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প, (৩) সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ম পর্যায়) প্রকল্প, (৪) দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি প্রকল্প (উপাদান-১, বাপাউবো অংশ) (প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প- বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ০১টি প্রকল্প দারুল আরকাম ইসলামী শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

এছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টার নিজস্ব ক্ষমতাবলে অনুমোদিত ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প সর্ম্পকে একনেক সভায় অবহিত করা হয়। 

সেগুলো হচ্ছে- ১. নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনী জেলার ২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ২. সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প, ৩. শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প (৩য় সংশোধিত), ৪. বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ এবং নদীমাতৃক চরভূমির জন্য অভিযোজন উদ্যোগ (১ সংশোধন) প্রকল্প, ৫. ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার ঢোলভাঙ্গা-নদীর ডান তীর এবং উজানচর ইউনিয়নে লোয়ার তিতাস নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প, ৬. নোয়াখালী জেলার বামনী নদী অববাহিকার বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, ৭. র‍্যাব ফোর্সেসের আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি (১ম সংশোধিত), ৮. পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পাসের ভবন সমূহের স্থাপনাগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ (১ম সংশোধনী) প্রকল্প, ৯. ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা লেক উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ১০. অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ (১ম সংশোধিত)।