img

নভেম্বরে এলো অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

প্রকাশিত :  ১৩:৫৯, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:১৬, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

নভেম্বরে এলো অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের যেকোনো মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

 বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৭৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। নভেম্বরের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬১ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২ থেকে ৮ নভেম্বর দেশে এসেছে ৭১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর নভেম্বরের প্রথম দিন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

এর আগে গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।



img

অনুমতি ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলোকে তলব

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর তেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তলব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবুও তারা বাজারে লিটারপ্রতি ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও সমন্বয় আনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দাম বৃদ্ধির আবেদন থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, \'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।\'

এর আগে গত অক্টোবরেও একইভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। তখন সরকার জানায়, এভাবে মূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থনীতি এর আরও খবর