img

৭ কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু

প্রকাশিত :  ০৭:৫৪, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

৭ কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন রেকর্ড ডেটকে সামনে রেখে স্পট মার্কেটে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি কোম্পানি দুই কর্মদিবস (২৪-২৫ নভেম্বর) এবং তিনটি ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি তিন কর্মদিবস (২৪-২৬ নভেম্বর) পর্যন্ত স্পট মার্কেটে লেনদেন করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএসই\'র নির্দেশনা অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে লেনদেনের সময় শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম প্রযোজ্য হয়। এই সময়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ার শুধুমাত্র ‘ম্যাচিউরড’ বা নগদ অর্থ দিয়ে কেনা যাবে। অর্থাৎ, শেয়ার কেনার অর্থ ক্রেতার অ্যাকাউন্টে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত থাকতে হবে। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় মূলত রেকর্ড ডেটের আগে লেনদেনকৃত শেয়ারগুলো যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতার বিও হিসাবে জমা হয় এবং তিনি কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড বা অন্যান্য কর্পোরেট সুবিধার জন্য যোগ্য হতে পারেন।

যে চারটি নিয়মিত কোম্পানি দুই কর্মদিবস স্পট মার্কেটে লেনদেন করবে, সেগুলো হলো: ন্যাশনাল টিউবস, মোজাফ্ফর হোসাইন, জেএমআই হসপিটাল এবং ফু-ওয়াং সিরামিক। অন্যদিকে, ‘জেড’ ক্যাটাগরির তিনটি কোম্পানি—জিবিবি পাওয়ার, সেন্ট্রাল ফার্মা ও জুট স্পিনার্স—একদিনের অতিরিক্ত সময় অর্থাৎ তিন কর্মদিবস স্পট মার্কেটে লেনদেন করার সুযোগ পাচ্ছে।

কোম্পানিগুলোর স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হওয়ার পর রেকর্ড ডেট পূর্বনির্ধারিত রয়েছে। নিয়মিত চারটি কোম্পানির জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারিত। আর ‘জেড’ ক্যাটাগরির তিনটি কোম্পানির জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে ২৭ নভেম্বর। এই রেকর্ড ডেটের উদ্দেশ্য হলো কোম্পানির ঘোষিত কর্পোরেট সুবিধা (যেমন: ডিভিডেন্ড) পাওয়ার জন্য যোগ্য শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা চূড়ান্ত করা। ফলে, এই দুই দিনে (২৬ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বর) কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

অনুমতি ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলোকে তলব

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর তেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তলব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবুও তারা বাজারে লিটারপ্রতি ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও সমন্বয় আনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দাম বৃদ্ধির আবেদন থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, \'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।\'

এর আগে গত অক্টোবরেও একইভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। তখন সরকার জানায়, এভাবে মূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থনীতি এর আরও খবর