img

নতুন আইপিও বিধিমালায় সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগে শেয়ারবাজারে আলোচনার ঝড়

প্রকাশিত :  ১২:০৩, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের পুঁজিবাজারে আবারও মুখর হয়ে উঠেছে বেসরকারি কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তি (Direct Listing) নিয়ে আলোচনা। নতুন আইপিও বিধিমালা–২০২৫ এর খসড়াতে এই সুযোগ রাখায় বাজারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বড় মূলধনের দেশি–বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সরাসরি তালিকাভুক্ত হলে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়বে, আর তারল্যও ফিরে আসবে—এমন আশা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি বিএসইসির খসড়া আইপিও বিধিমালা পর্যালোচনার জন্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সভা করে। সেখানে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে বেসরকারি কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তির প্রস্তাব।

ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন–ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আইপিওতে নতুন শেয়ার ছাড়াই উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা যদি সরাসরি বাজারে শেয়ার বিক্রি করতে পারেন, তাহলে তারা তালিকাভুক্ত হতে আরও উৎসাহিত হবেন। সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির জন্য একই নিয়ম করলে বাজারে সত্যিকারের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে বলেও তিনি মত দেন।

বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম জানান, সরাসরি তালিকাভুক্তি মূলত সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য। বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উঠিয়ে দিলে, তাদের জন্য এই সুযোগ উন্মুক্ত হবে।

সরাসরি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানি নতুন শেয়ার ছাড়ে না; বরং উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। তবে ২০০৯–২০১০ সালের অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক তদারকি না হলে বাজারে অর্থ তোলার পর অনেক কোম্পানির আর্থিক দুর্বলতা তৈরি হয়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নতুন ও নির্ভরযোগ্য কোম্পানি যুক্ত হলে শেয়ারবাজারে আস্থা ও তারল্য উভয়ই বাড়বে, যা দীর্ঘদিন ধরেই ঘাটতিতে ছিল। নতুন আইপিও বিধিমালা সেই আস্থার পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

img

অনুমতি ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলোকে তলব

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর তেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তলব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবুও তারা বাজারে লিটারপ্রতি ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও সমন্বয় আনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দাম বৃদ্ধির আবেদন থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, \'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।\'

এর আগে গত অক্টোবরেও একইভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। তখন সরকার জানায়, এভাবে মূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থনীতি এর আরও খবর