img

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত :  ১৭:২৭, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ পাওয়া গেছে

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ভল্ট ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারে সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এই ভল্ট দুইটি ভাঙ্গার সময় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে লকারের একটি সিজার লিস্ট করা হচ্ছে।

এর আগে লকার দুটি জব্দ করে এনবিআরের এই গোয়েন্দা সংস্থা।

সিআইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার রাতে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নামে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চে থাকা ৭৫১ এবং ৭৫৩ নম্বর ভল্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেশন অনুযায়ী ভাঙা হয়। ভল্ট দুটি থেকে মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকারে সন্ধান পাওয়া যায়।

তবে স্বর্ণের বাইরে আর কি ধরনের জিনিস রয়েছে, তা জব্দ তালিকার পর জানা যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অবশ্য একই দিন শেখ হাসিনার নামে রক্ষিত পূবালী ব্যাংকের একটি শাখায় রক্ষিত ভল্ট খোলা হলেও সেখানে কোনো স্বর্ণালংকার বা কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পূবালী ব্যাংকের ওই ভল্টে কেবল একটি পাটের বস্তা পাওয়া গেছে। তবে এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


img

অনুমতি ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলোকে তলব

প্রকাশিত :  ০৭:১৭, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর তেল আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তলব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবুও তারা বাজারে লিটারপ্রতি ৯ টাকা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় দেশীয় বাজারেও সমন্বয় আনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দাম বৃদ্ধির আবেদন থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

উপদেষ্টা আরও বলেন, \'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।\'

এর আগে গত অক্টোবরেও একইভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। তখন সরকার জানায়, এভাবে মূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেই। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থনীতি এর আরও খবর