img

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাওলানা শেখ জাকারিয়ার জমিয়তে যোগদান

প্রকাশিত :  ১৯:৪২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৫, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাওলানা শেখ জাকারিয়ার জমিয়তে যোগদান

সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত-এর উদ্যোগে এক যোগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার (৫ অক্টোবর ২০২৫) বাদ মাগরিব সৈয়দপুর বাজারস্থ জমিয়ত কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ রশিদ আহমদ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমিনুল ইসলাম রাজু এবং সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ আবিদ আহমদ সরদার।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জমিয়তের সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা হাফিজ সৈয়দ শামিম আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মাসরুর আহমদ কাসিমী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের প্রবীণ নেতা মাওলানা হাফিজ সৈয়দ মঈনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুতিউর রাহমান, উপজেলা জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা হাফিজ আলী আহমদ, সহ সভাপতি মুফতি সৈয়দ শামিম আহমদ, সহ সভাপতি হাফিজ মাহমুদুল হাসান, উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ হাবিব ছালেহ, ইউনিয়ন জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা নঈম আহমদ, সহ সভাপতি মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, সহ সভাপতি হাফিজ নব্বির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আখতার হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেখ বিলাল আহমদ, জমিয়ত নেতা মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা আমিরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আহাদ, ইউনিয়ন ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ আসজদ আহমদ, সেক্রেটারি হাফিজ সাকিব আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিজান আহমদসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠানে আঁকাবির ও আসলাফের আমানত সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর ফরম পূরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা শেখ জাকারিয়া। তার সঙ্গে আরও আটজন ভাই জমিয়তে যোগদান করেন।

নতুন সদস্যদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। বক্তারা নবাগতদের ইখলাস ও ইস্তেকামতের সাথে জমিয়তের আদর্শে কাজ করে ইসলামী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন — মাওলানা শেখ জাকারিয়া ও তাঁর সহযোদ্ধাদের যোগদানের মাধ্যমে সৈয়দপুর অঞ্চলে জমিয়তের কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল হবে ইনশাআল্লাহ।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়েতে কীভাবে ঢুকলেন মারা যাওয়া যু্বক?

প্রকাশিত :  ০৯:৪৯, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বুধবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক মারা গেছেন। চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান বলে ধারণা সংশ্লিস্টদের।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো একটি সংরক্ষিত এলাকায় ওই যুবক কীভাবে প্রবেশ করলেন। প্রশ্ন ওঠেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি ছিলো না।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বিমানবন্দরের রানওয়ে-১১ এলাকা থেকে সুমন আহমদ নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এয়ারপোর্ট থানাধীন লালবাগ এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে কোনো কিছু সংস্পর্শে আসার সংকেত পান। তখন সিসি ক্যামেরায়ও স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ওই স্থান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবককে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

তবে কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিমানন্দর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে মারা যান সুমন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বৈদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ সিলেটটুডেকে বলেন, আমাদের ধারণা তিনি চুরির উদ্দেশ্যেই রানওয়েতে প্রবেশ করেছিলেন। চুরির কিছু আলামতও মিলেছে। পুলিশ কাটার মেশিন উদ্ধার করেছে।

ওই যুবক কীভাবে রানওয়েতে প্রবেশ করলেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমরা ফ্লাইট অপারেশনে ছিলাম। আমাদের রানওয়ের চারপাশে সীমানা দেওয়াল আছে। আমরা সারারাত টহলও দেই। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি নেই। ওই যুবক রানওয়েতে ঢুকতে পারেননি। রানওয়ের পাশেই ছিলেন। তবে সেখানে কীভাবে তিনি ঢুকে পড়লেন তা বুঝা যাচ্ছে না।

কেউ যদিও চুরির জন্য বেপোরোয়া হয়ে যায় তাকে ঠেকাবেন কীভাবে, যোগ করেন হাফিজ আহমদ।

সিলেটের খবর এর আরও খবর