img

সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

প্রকাশিত :  ০৮:৩৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গুম-খুনের মামলার বিচারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আজ  রবিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে। 

পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

“গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চান।  দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। 

ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন অন্ধ সহযোগী। ফলে গুম এবং খুনের একটি ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

 তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

আমরা আশা করি, কারও ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। পরিণতিতে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে।”

জাতীয় এর আরও খবর

img

জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

প্রকাশিত :  ১১:০৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিসসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কর্মসূচির কথা জানায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

কর্মসূচির আওতায় ২০ অক্টোবর রাজধানীতে, ২৫ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেছে দলগুলো। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট, পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

৫ দফা দাবিসমূহ: ১। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা ২। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে / উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা ৩। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ৪। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নিযর্াতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ৫। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাযর্ক্রম নিষিদ্ধ করা

সংবাদ সম্মেলনে সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম। 

জাতীয় এর আরও খবর