img

সিলেট মেডিকেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো কলকাতার ডিসান হাসপাতাল

প্রকাশিত :  ১৯:৩৮, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২০:০৪, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বমানের চিকিৎসা সুবিধা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের প্রতিশ্রুতি

 সিলেট মেডিকেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো কলকাতার ডিসান হাসপাতাল

সিলেট তথা বাংলাদেশী রোগীদের জন্য ভারতের কলকাতায় অবস্থিত ডিসান হাসপাতাল বিশ্বমানের এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সাশ্রয়ী মুল্যে প্রদানের জন্য সিলেট মেডিকেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।  

গত সোমবার (২০শে অক্তোবর, ২০২৫ ইং) রাতে নগরীর বারুতখানাস্থ একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে সিলেটের রোগী, রোগীর স্বজন এবং স্থানীয় হেলথকেয়ার ফেসিলেটর এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে সংশ্লিষ্টদের কাছে ডিসান হাসপাতালকে পরিচয় করিয়ে দিতে সিলেট মেডিকেয়ার এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। 

সিলেট মেডিকেয়ারের কো-ফাউন্ডার রেদা মঈন রেজার সঞ্চালনায় পরিচালিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ডেসান হাসপাতালের আন্তর্জাতিক রোগী বিভাগের ব্যবস্থাপক জনাব শেখ গিয়াস উদ্দিন। এসময় তিনি ডিসান হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্পেশিয়ালিটির পরিচয় এবং সিলেট তথা বাংলাদেশের রোগীদের হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তথ্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের কলকাতার ডিসান মোড়, কসবা গোলপার্ক, ই এম বাইপাস, কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এলাকায় অবস্থিত ডিসান হাসপাতাল ১০ তলা বিল্ডিং-এর ভিতরে ২৫০,০০০ স্কয়ার ফিটের জায়গার ভিতর ৭৫০টি শয্যা, ২০টি ওটি, ৮টি বিশেষ ইনস্টিটিউট এবং ৫১টি বিভাগ নিয়ে উৎকর্ষতার অন্যন্য উদাহরণ ইতিমধ্যে স্থাপন করেছে।  

সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিকেয়ারের মাধ্যমে সিলেটের রোগীদের ভারত এবং অন্যান্য  বিভিন্ন দেশে ভিসা প্রসেসের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে। পাশাপাশি স্থানীয় ডাক্তারদের সাথে বিদেশের ডাক্তারদের মধ্যে সিএমই আয়োজন করে অবদান রাখায় ধন্যবাদ প্রদান করেন। এই মতবিনিময় সভাটি বাংলাদেশের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবায় ভারতের হাসপাতালের  সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের-ই প্রতিফলন। এই অংশীদারিত্ব সিলেটের রোগীদের জন্য অধিকতর সাশ্রয়ী মুল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেডিকেয়ারের কো-ফাউন্ডার চৌধুরী নূর তামাম, কো-ফাউন্ডার শাহরিয়ার মুমিত জনি, কো-ফাউন্ডার আব্দুল করিম জোনাক, সাইফ, সোহাগ আহমদ, মইনুল হক, ফরহাদ আহমদ, আব্দুল মজিদ, মুখতার উদ্দিন, হিফজুর রহমান খান, ফখরুল ইসলাম মিয়া,  জাকির হোসেন, সৈয়দ আব্দুল্লাহ, সাজিদুল বারী সাজিদ, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

দেশের বাহিরে যারা উন্নত চিকিৎসা নিতে চান সিলেট মেডিকেয়ার টিমের সাথে ০১৮৯৩-৮৯১২১২ ও ০১৭১৫-০২৯০১৮ নাম্বারে এবং সরাসরি সিলেট নগরীর রংমহল টাওয়ারের ২য় তলাস্থ অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।

img

৬ মাস ধরে বন্ধ শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎকেন্দ্র, লোডশেডিং চরমে

প্রকাশিত :  ০৭:২৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুরে অবস্থিত ১১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় গ্রামেগঞ্জে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড ২০০৯ সালে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মালিকানাধীন দুই একর জমিতে কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে স্বস্তি ফিরে আসে। শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখতে কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কেন্দ্রটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইটি শাখার কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এপ্রিলে কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ভবন, যন্ত্রপাতিসহ মালামাল বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে।

কেন্দ্র বন্ধের পর থেকে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিন-রাত লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার ব্যবসায়ী মিজান মিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে গেছে। দোকানে ফ্রিজ চলে না, লাইট বন্ধ থাকে, বিক্রি কমে গেছে অর্ধেকে।

শিক্ষার্থী কামরুল হোসেন বলেন, ‘রাতে পড়াশোনা করতে পারি না। বিদ্যুৎ থাকলে পড়ার পরিবেশ থাকে, এখন এত বেশি লোডশেডিং হয় যে ঘরে থাকাই দায়।’

চুনারুঘাটের কৃষক মধু মিয়া জানান, চাল ও ধানের মৌসুমে সেচ দিতে পারছি না। বিদ্যুৎ গেলে পাম্প চলে না, জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এনার্জিপ্যাকের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নতুন উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চলছে, তবে কিছু সময় লাগবে।

স্থানীয়দের মতে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা গেলে লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে এবং গ্রামীণ জনজীবনে স্বস্তি ফিরবে। তারা সরকারের কাছে দ্রুত কেন্দ্রটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর সাড়া মেলেনি।


সিলেটের খবর এর আরও খবর