img

৫ম দফা বর্ধিত মেয়াদেও শেষ হয়নি কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সময় লাগবে আরও ২ বছর

 ৫ম দফা বর্ধিত মেয়াদেও শেষ হয়নি কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ

চলিত বছরের ৩০ জুন কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের ৫ম দফা বর্ধিত সময় পার হয়েছে । সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এই বর্ধিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করেছে প্রায় ৬০ ভাগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী ২০২৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অবকাঠামোগত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ট্রেন চলাচল উপযোগি করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জোরালো তাগিদ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চলমান কাজের অগ্রগতি ও ত্রুটি বিচ্যুতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) এমএ আকমল হোসেন আজাদ।

এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান-সহ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এজিএম বি.আর শর্মা, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গালিব চৌধুরী, স্থানীয় উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) এমএ আকমল হোসেন আজাদ বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর এলাকার চলমান রেললাইনের সংস্কার কাজ এবং সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা উন্নয়ন কাজের নানা ত্রুটি বিচ্যুতি তোলে ধরে তা সমাধানের এবং বৃটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনটিতে লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন, কুলাউড়া, বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী ইন্টারসিটি ট্রেন চালুর দাবি জানান। কাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রদান করতে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন পরিকল্পনা সচিব সংস্কার।

পরির্দশনকালে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ জানান, এই রেলপথটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর এই সেকশনে চারটি লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও দুটি ইন্টারসিটি ‘ঢাকা থেকে শাহবাজপুর’ এবং ‘শাহবাজপুর থেকে ঢাকা’ ট্রেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। রেল সেকশনটির উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন।


 

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

পরকীয়ার অভিযোগে মাজার জিয়ারতের কথা বলে সিলেটে এনে স্ত্রীকে খুন!

প্রকাশিত :  ০৮:৫৪, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের কথা বলে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে সুনামেঞ্জের দোয়ারাবাজারের ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগের দিন দোয়ারাবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে লাক্কাতুরা চা বাগানের ভাইগণ নামক টিলার উপরে নির্জন ও ঝোপঝাড়ে এক অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটি আংশিক পচনধরা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর বয়স প্রায় ২৫ বছর অনুমান করা হয়। পরনে ছিল নতুন লাল রঙের জমিন ছাপা শাড়ি, হালকা গোলাপি রঙের বোরকা, এবং গলায় হলুদ রঙের ওড়না পেঁচানো ছিল। মৃতদেহের পাশেই পাওয়া যায় একটি লেডিস হ্যান্ডব্যাগ, যার ভিতরে ছিল কয়েকটি জামাকাপড় এবং ব্যাগের পকেটে একটি ছোট মেমোরি কার্ড।

পিবিআই ও সিআইডি কর্তৃক আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হলেও, আঙ্গুলে পচন ধরায় পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে মেমোরি কার্ডে থাকা রেকর্ডকৃত মোবাইলের কথোপকথনের অডিও তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট নম্বরের সিডিআর সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে পুলিশ মৃত নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

নিহত নারী হলেন—সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার মওলারপাড় গ্রামের মৃত মাহতাব মিয়ার কন্যা রাবেয়া বেগম। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তদন্তে অগ্রগতি ঘটে এবং পুলিশের সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসে নিহতের স্বামী সুনামগঞ্জ সদর থানার রাঙ্গারচর গ্রামের ওমান ফেরত আব্দুল আজিজের ছেলে ফারুক আহমেদ।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এয়ারপোর্ট থানার একটি আভিযানিক দল দোয়ারা বাজার থানাধীন রাঙ্গারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফারুককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে ফারুক হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করলেও, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করলে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।

আসামি ফারুকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফারুক ওমানে অবস্থানকালে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের পূর্বের বিয়ে গোপন করা, তার সাথে বিয়ের পর অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। পরবর্তীতে গত ১৩ অক্টোবর ফারুক স্ত্রীকে নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর মাজার জিয়ারতের কথা বলে সিলেটে আসে। মাজার জিয়ারত শেষে বেড়ানোর কথা বলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উত্তর-পূর্ব দিকের নির্জন টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে তার ফুফাতো ভাই আলামিনের সহায়তায় স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে।

এ ঘটনার বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ফারুক ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের চাচা রিপন মিয়া অভিযোগ দায়ের করলে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং-১৭ তারিখ-১৭/১০/২৫খ্রিঃ ধারা ৩০২/৩৪।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৮ অক্টোবর) ফারুককে আদালতে উপস্থাপন করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের সম্মুখে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি প্রদান শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর