
সিলেট নগরীর রাস্তায় আজ থেকে হকার বসতে পারবে না

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে হকারদের দখলদারিত্বের কারণে নাগরিকরা যে দুর্ভোগে ভুগছেন, সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অবশেষে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় হকার বসা ও অস্থায়ী দোকান স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে জানানো হয়েছে: বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, লামাবাজার, তালতলা, আম্বরখানা ও চৌহাট্টাসহ নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় দিন বা রাতের যেকোনো সময় হকারি বা অস্থায়ী দোকান বসানো যাবে না।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি নির্ধারিত এলাকায় হকারি কার্যক্রম চালান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর ফুটপাত ও সড়কের পাশে হকারদের অনিয়ন্ত্রিত দখলদারিত্বে যানজট ও জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের চিত্রে পরিণত হয়েছিল। এবার সেই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রশাসন মাঠে নামছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, নগরবাসীর নির্বিঘ্ন চলাচল, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং পরিচ্ছন্ন নগর পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, প্রশাসনের এ প্রচেষ্টায় যদি সবাই অংশ নেন, তাহলে সিলেট আরও বাসযোগ্য ও সৌন্দর্যমণ্ডিত শহরে রূপ নিতে পারবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, লালদিঘির পাড় মাঠে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে সেখানে চলে যেতে হবে। নগরের ব্যস্ততম এলাকার সড়কে হকারদের বসতে দেওয়া হবে না। বসলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে এসএমপির পক্ষ থেকেও রাস্তা ও ফুটপাতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোন কর্মকাণ্ড ঘটলে তাদের বিরুদ্ধ ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে রাখা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে জলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও এসএমপি মিলে ফুটপাত মুক্ত রাখতে নগরীতে অভিযানে থাকবে। তাদের সহায়তায় র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে একটি ইউনিট নগরীতে মোতায়েন থাকবে।