কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

img

ছয় দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তা অবরোধ

প্রকাশিত :  ১৩:৪১, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ছয় দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তা অবরোধ

সংগ্রাম দত্ত: অনলাইন নিউজ পোর্টাল রেড টাইমস ডট কম-এর সম্পাদক, কবি , সাহিত্যিক সৌমিত্র দেব টিটু আর নেই। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলে, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

তিনি এজমা- শ্বাসকষ্টে  ভোগছিলেন। মঙ্গলবার  (১৫ এপ্রিল) ৯ ঘটিকায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে তার স্ত্রী পলা দেব ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।  

১৯৭০ সালের ২৭ শে জুলাই মৌলভীবাজার জেলা শহরে  তাঁর  জন্ম । তাঁর পিতা-মাতা যথাক্রমে  সুশীতল দেব ও মায়া দেব। তাদের পারিবারিক গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার উচাইল গ্রামে। 

\'৯০ এর দশক থেকে তিনি কবিতা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। বেশ কয়েক বছর পূর্বে তিনি সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

কবি সৌমিত্র দেব কবিতা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা ছাড়াও একজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ছিলেন। 

মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ওয়ার্কাস পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করেন।

পেশাগত জীবনে  দৈনিক মানবজমিন এর সহকারী সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার লেখা ও সম্পাদনায় ৪০ টি বই প্রকাশনা করেছেন। ঢাকাস্থ জালালাবাদ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি ছিলেন। তিন বোনের একমাত্র ভাই  ছিলেন। 

গত ১৯ অক্টোবর ২০২৪ সরকার ৭ মার্চ ও ১৫ই আগস্ট সরকারি ছুটি বাতিলের দাবিতে ক্রিয়েটিভ রাইটার্স এসোসিয়েশনের ব্যানারে তিনি ও কিছু লেখক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনিসহ কয়েকজন আহত হন।

তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সারা জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্ধ্যার পর তাঁর মরদেহ মৌলভীবাজার জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হলে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

শিক্ষা এর আরও খবর

img

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:২২, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ২০ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে নাজমুল ইসলাম নামে এক সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এসময় তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। 

মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার পারধুন্দিয় গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাজা মিয়া, হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোজাহিদ, পারধুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে বসু, মাদারদহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সাঘাটা থানার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মিলন সরকার। 

অন্যদিকে ভিকটিম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম নওগা জেলার চকগৌরী বাজার হতে সবজি কিনে ঢাকার বাইপাইল এলাকায় আড়তে বিক্রি করতেন। গত ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট দুপুরে সে একইভাবে ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিনে পরিবারের সাথে কথা হলেও রাত ১২টার দিকে নাজমুলের মোবাইল থেকে ভিকটিমের বউয়ের মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয় নাজমুলকে চন্দ্রা এলাকা হতে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা পেলে ছেড়ে দিবে। 

পরবর্তীতে পরিবার নাজমুলের সাথে কথা বলতে চাইলেও বলতে দেওয়া হয়না। পরেরদিন ১২ তারিখ সকালে জানতে পারেন যে নাজমুলকে সিরাজঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশ মৃত অবস্থায় পেয়েছে। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানায় গিয়ে পরিবার তার মৃতদেহ সনাক্ত করেন এবং নাজমুলের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলার এজাহার দায়ের করেন। 

এই মামলায় মোট ৭ জন আসামি করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৬৪, ৩০২, ২০১ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অধীন চার্জ গঠন করেন। পরে একজনের মৃত্যু হলে মামলার বিচার চলাকালে তাকে এই মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দার রফিক সরকার জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্যা পিনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৯৬ তৎসহ পঠিত ৩৪ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজ এই রায় ঘোষণা করেন।