img

পুলিশের কাছে রাইফেল থাকলেও থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৮:৩০, ১৪ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৪, ১৪ জুন ২০২৫

পুলিশের কাছে রাইফেল থাকলেও থাকবে না মারণাস্ত্র: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকলেও ভারি মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) মতো বিশেষায়িত ইউনিটের কাছে ভারি অস্ত্র থাকবে বলে জানান তিনি। 

আজ শনিবার সকাল ১১টায়  রাজধানীতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র। এরপর র‌্যাব-১ কার্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এপিবিএন, থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক উন্নয়ন  সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাঠপর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের হাতে কার্যকর প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র, যেমন আধুনিক রাইফেল থাকবে। তবে ভারী মারণাস্ত্র দেওয়া হবে না।

তিনি জানান, বিশেষায়িত বাহিনী, যেমন এপিবিএন-এর কাছে প্রয়োজনীয় ভারী অস্ত্র বরাদ্দ থাকবে, যাতে তারা নির্দিষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে যেন অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগ না হয়, সে বিষয়েও আমরা সতর্ক। আইনের প্রয়োগে মানবাধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এই উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক, সন্ত্রাস ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহায়তায় আমরা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।

যানজট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাধারণত একটি দেশে রাস্তার পরিমাণ থাকতে হয় ২০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের দেশে রাস্তার পরিমাণ ৭ শতাংশই নেই। আবার গাড়িও দিন দিন বাড়ছে। এজন্য যানজটের সমস্যা থাকবে, আমরা তা নিরসনের চেষ্টা করছি।

ঈদে আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু-একটা চুরি ও ছিনতাই হয়েছে, তবে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয় নাই। দু-একটি ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া এবারের ঈদ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করেছেন দেশবাসী।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং নিরাপদ ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনে সরকারের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।


img

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত :  ১৪:৪৪, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৯, ১৮ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের (ইউএনএইচসিআর) মিশন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে এ সংক্রান্ত তিন বছরের সমঝোতা চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর।

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সমঝোতা স্মারকটিতে জাতিসংঘের পক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক ও বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম স্বাক্ষর করেন।

জানা যায়, বাংলাদেশকে মানবাধিকার বিষয়ে সুরক্ষা সহায়তা দিতেই এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। নতুন এ মিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। 

গত বছরের আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। মানবাধিকার, সংস্কার এগিয়ে নেওয়া এবং গণবিক্ষোভ দমনের ঘটনার তথ্য-অনুসন্ধান চালাতে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে সংস্থাটি।