img

ইরানে এ পর্যন্ত নিহত অন্তত ৪৫০, দাবি মানবাধিকার সংস্থার

প্রকাশিত :  ১৬:৫০, ১৭ জুন ২০২৫

ইরানে এ পর্যন্ত নিহত অন্তত ৪৫০, দাবি মানবাধিকার সংস্থার

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান বা এইচআরএএনএ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত  ইরানে ৪৫২ জন মানুষ নিহত এবং ৬৪৬ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২২৪ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর ১০৯ জন এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাত থেকে ইরানের হামলায় গুরুতর আহত ১৫৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘যু্দ্ধবিরতির চেয়ে ভালো’ কিছু চান। তিনি বলেছেন, এ সংঘাতের ‘একটি সত্যিকার সমাপ্তি’ চান তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।

তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ট্রাম্প তাকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘একটি সত্যিকার সমাপ্তি। যুদ্ধবিরতি নয়।

একটি সমাপ্তি।’

পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য তিনি এখনো ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

ইরানের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো লিখেছেন, ‘তারা যদি কথা বলতে চায়, তারা জানে কিভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাদের আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তি গ্রহণ করা উচিত, যা অনেক প্রাণ রক্ষা করবে।’

অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার জানিয়েছেন, ইরানের সরকার পরিবর্তন করা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য নয়।

তিনি বলেন, অভিযানের ফলে এটি ঘটতে পারে, কিন্তু এটি তাদের লক্ষ্য নয়। রিশন লেজিওন শহরে ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেছেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসরায়েলের তিনটি লক্ষ্য—প্রথমত ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মারাত্মক ক্ষতিসাধন করা। এটি এখনো শেষ হয়নি। এ ছাড়া ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ক্ষতি করা তাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য বলে জানান তিনি। আর তৃতীয় লক্ষ্য হলো ইসরায়েল রাষ্ট্র নির্মূলের পরিকল্পনার ক্ষতিসাধন করা।

img

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৭:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

 আমেরিকার ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।এমনকি হতে পারে ফৌজদারি মামলাও।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা সবসময় ভিসা জালিয়াতি, ভুয়া নথিপত্র এবং প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে অবহিত। তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা উপস্থাপন গুরুতর অপরাধ।

দূতাবাস জানায়, কেউ যদি ভিসা আবেদন ফরমে (ডিএস-১৬০) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন বা গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট গোপন করেন, তাহলে শুধু তাৎক্ষণিক ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

গত ১০ জুলাই দূতাবাসের অন্য একটি পোস্টে জানানো হয়েছিল, ডিএস-১৬০ ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীনাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা নিজে থেকেই সমস্ত তথ্য সত্য বলেই স্বীকার করে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেন ও জমা দেন।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ভুয়া নথিপত্র বা তথ্য গোপনের মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।