img

শনিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিন মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ

প্রকাশিত :  ০৭:২৪, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিন মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ

দেশে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় আগামী শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে জেলেরা প্রত্যেকে ভিজিএফের চাল পাবেন ২৫ কেজি করে।

লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

নিষেধাজ্ঞার সময় এসব এলাকায় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলেদের সচেতন করতে নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সকল ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমাণ ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৩০০ জেলে নিবন্ধিত রয়েছেন। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত  ২২দিন মেঘনা নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতি জেলেকে ২৫ কেজি করে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এবার ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫০০ টন।

মজু চৌধুরীর হাট ঘাট এলাকার জেলে কালাম মাঝি ও রহিম উল্যাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং উৎপাদন বাড়াতে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না। তবে জেলেদের পুর্নবাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। জেলার প্রত্যেক জেলে সরকারি সহায়তা পাবে সেটাই প্রত্যাশা তাদের। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত বণ্টনের  দাবি জানান তারা। 

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ইতোমধ্যে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। কেউ বাদ যাবে না। 

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে আশা করি। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।


img

দাম বাড়ল আরো ৭০০০, স্বর্ণের ভরি এখন ২ লাখ ৯ হাজার টাকা

প্রকাশিত :  ১৬:৩৪, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৩৬, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম বাড়ার কারণে নতুন করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৯০৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার এক ভরির দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নতুন এ দাম কার্যকর হবে  বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থেকে।

বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি বিক্রি হবে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকায়, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৪ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকায়।

সোনার দামের পাশাপাশি বেড়েছে রুপার দামও। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হবে ৪ হাজার ৯৮১ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৭৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪ হাজার ৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ৩ হাজার ৫৬ টাকায়।

উল্লেখ্য এর আগে গত ৪ এবং ৬ অক্টোবর দুই দফায় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করা হয়। 



অর্থনীতি এর আরও খবর