img

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত :  ০৭:৫০, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৯, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ। ২০২৭ সালে সেটা আরও বেড়ে ৬.৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ। এছাড়া ২০২৬-২৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।

আজ মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে সময়োপযোগী সংস্কার দরকার। চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধের বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক গতি এসেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে স্থায়ী প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান (বিশেষত তরুণ ও নারীদের জন্য) নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সময়োপযোগী ও কার্যকর সংস্কার। তবে বাইরের চাপ ও আর্থিক ঝুঁকি রয়ে গেছে। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু হলেও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আর্থিক ঘাটতি বেড়েছে এবং কর রাজস্ব দুর্বল রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমেছে। নতুন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ নারী শ্রমবাজারের বাইরে রয়েছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর নিযুক্ত জ্যঁ পেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তবে এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সংস্কার জরুরি। রাজস্ব বৃদ্ধি, জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস, নগরায়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি আরও বেশি ও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

দাম বাড়ল আরো ৭০০০, স্বর্ণের ভরি এখন ২ লাখ ৯ হাজার টাকা

প্রকাশিত :  ১৬:৩৪, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২০:৩৬, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা ও দাম বাড়ার কারণে নতুন করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এবার ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৯০৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সোনার দাম। নতুন দামের ফলে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট সোনার এক ভরির দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকা যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নতুন এ দাম কার্যকর হবে  বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থেকে।

বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি বিক্রি হবে ২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকায়, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৪ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হবে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকায়।

সোনার দামের পাশাপাশি বেড়েছে রুপার দামও। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হবে ৪ হাজার ৯৮১ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৭৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৪ হাজার ৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ৩ হাজার ৫৬ টাকায়।

উল্লেখ্য এর আগে গত ৪ এবং ৬ অক্টোবর দুই দফায় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করা হয়। 



অর্থনীতি এর আরও খবর