img

কনসার্টে 'জয় বাংলা' স্লোগানের জেরে ভাঙচুর, গোলাগুলি

প্রকাশিত :  ২০:২২, ১১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২০:২৫, ১১ অক্টোবর ২০২৫

কনসার্টে 'জয় বাংলা' স্লোগানের জেরে ভাঙচুর, গোলাগুলি

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. শরীফ (২৩) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নগরের জিইসি মোড়ের কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। তবে শরীফ কার গুলিতে আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পক্ষ কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটক ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এ সময় ভেতরে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়েন।

জানা গেছে, জিইসি মোড়ের কনভেনশন সেন্টারে একটি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওই কনসার্টের আয়োজন করে। এতে ব্যান্ড দল আর্টসেল গান পরিবেশনের কথা ছিল। এই কনসার্ট সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ওই কনসার্টে দুই পক্ষের ঝামেলার কারণে কনসার্ট পণ্ড হয়ে যায়।

জানা গেছে, কনসার্ট চলাকালে একটি পক্ষ সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ছাত্রদলের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ একজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার।

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফু আলম বলেন, কনসার্ট চলাকালে কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে আওয়ামী লীগের স্লোগান দিয়েছে একটি পক্ষ। পরে এটি নিয়ে ভেতরে গণ্ডগোল হয়েছেন।

নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, কী নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা আছেন।


জাতীয় এর আরও খবর

img

এখনো ধোঁয়া উড়ছে কার্গো ভিলেজে, চলছে উদ্ধারকাজ

প্রকাশিত :  ০৮:২৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনের চারপাশে রোববার সকালেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এখনো দুই পাশ থেকে পানি ছিটিয়ে ঠাণ্ডা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বিমানবন্দরের সামনের অংশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, “এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। আগুন পুরোপুরি নেভানো হলেও ধোঁয়া নিরসনের কাজ অব্যাহত আছে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, “ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে কাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।”

গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট, পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর পুনরায় চালু হয়। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, সেখানে আমদানি করা পণ্যসামগ্রী রাখা ছিল। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন এনবিআরের প্রথম সচিব মো. রইচ উদ্দিন খান, মো. তারেক হাসান, ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কমিটিকে দ্রুততম সময়ে অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে বাণিজ্য কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিমানের ফ্লাইট সেফটি চিফ। 

সদস্য হিসেবে থাকবেন-বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিমানের মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি) ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি)। 

আর সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের উপ-ব্যবস্থাপককে (ইনস্যুরেন্স)।কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, দায়ীদের চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুপারিশমালা পেশ করতে হবে।


জাতীয় এর আরও খবর