img

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: আদেশের খসড়া না দেখে সই করবে না এনসিপি

প্রকাশিত :  ০৬:১৮, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৫৩, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: আদেশের খসড়া না দেখে সই করবে না এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায় অনুসারে প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়নের যে আদেশটা হবে সে আদেশের খসড়ায় আমাদের ঐকমত্য হতে হবে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব।

তিনি আরও বলেন, আদেশের টেক্সট যেটা তার খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। ড. ইউনূস তিনি যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং গভর্মেন্ট হিসেবে ড. ইউনূস জারি করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান জানান দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও ন্যারেটিভ স্থান পায়নি এবং পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখানো হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি। গণমানুষের দাবি পূরণ ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল।

এনসিপির দেওয়া শর্ত তিনটি হলো-

১. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে।

২. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস জারি করবেন।

৩. গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে নোট অব ডিসেন্টের কোনো কার্যকরিতা থাকবে না।  গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের উপর প্রদত্ত Constituent Power (গাঠনিক ক্ষমতা) বলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কারকৃত সংবিধানের নাম হবে: বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬।

নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে।

ইসির জন্য আমাদের কার্যক্রম আটকে রয়েছে।’


জাতীয় এর আরও খবর

img

জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

প্রকাশিত :  ১১:০৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিসসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কর্মসূচির কথা জানায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

কর্মসূচির আওতায় ২০ অক্টোবর রাজধানীতে, ২৫ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেছে দলগুলো। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট, পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

৫ দফা দাবিসমূহ: ১। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা ২। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে / উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা ৩। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ৪। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নিযর্াতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ৫। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাযর্ক্রম নিষিদ্ধ করা

সংবাদ সম্মেলনে সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম। 

জাতীয় এর আরও খবর