img

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৬:৪৬, ১২ অক্টোবর ২০২৫

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে যোগ দিতে তিনি দেশটিতে পৌঁছেছেন।

স্থানীয় সময় রোববার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে দেশটিতে পৌঁছান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে রোমে পৌঁছেছেন। রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানালেন ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ.টি.এম রোকেবুল হক।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির রাজধানী রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফরসূচি অনুযায়ী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। এ ছাড়া তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য নিরসন, টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, গবেষক ও উদ্যোক্তারা মিলিত হয়ে খাদ্য ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে মতবিনিময় করেন। এবারের ইভেন্ট রোমে এফএওর সদর দপ্তরে ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এ সফরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


জাতীয় এর আরও খবর

img

এখনো ধোঁয়া উড়ছে কার্গো ভিলেজে, চলছে উদ্ধারকাজ

প্রকাশিত :  ০৮:২৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনের চারপাশে রোববার সকালেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এখনো দুই পাশ থেকে পানি ছিটিয়ে ঠাণ্ডা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বিমানবন্দরের সামনের অংশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, “এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। আগুন পুরোপুরি নেভানো হলেও ধোঁয়া নিরসনের কাজ অব্যাহত আছে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, “ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে কাজ করছে। নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।”

গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট, পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর পুনরায় চালু হয়। 

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, সেখানে আমদানি করা পণ্যসামগ্রী রাখা ছিল। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন এনবিআরের প্রথম সচিব মো. রইচ উদ্দিন খান, মো. তারেক হাসান, ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কমিটিকে দ্রুততম সময়ে অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে বাণিজ্য কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিমানের ফ্লাইট সেফটি চিফ। 

সদস্য হিসেবে থাকবেন-বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিমানের মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি) ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি)। 

আর সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের উপ-ব্যবস্থাপককে (ইনস্যুরেন্স)।কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, দায়ীদের চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুপারিশমালা পেশ করতে হবে।


জাতীয় এর আরও খবর