সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
প্রকাশিত :
১৪:৩৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক মোঃ আক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামু সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে বিজিবির হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল (১২ অক্টোবর) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বিজিবি সদস্য নায়েক মোঃ আক্তার হোসেন মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। আহত বিজিবি সদস্যকে তাৎক্ষনিকভাবে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচে প্রেরণ করে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আজ বিকেলে আহত নায়েক মোঃ আক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার নিমিত্তে বিজিবি\'র হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচ আনা হয়েছে।
(বার্তা প্রেরক:
মোঃ শরীফুল ইসলাম জনসংযোগ কর্মকর্তা সদর দপ্তর বিজিবি)
সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। তবে এখনই বৃষ্টি পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবারের (২১ অক্টোবর) মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আকাশ মেঘলা ও সেইসঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডে ৩, কক্সবাজারের আমবাগানে ৪ এবং কুতুবদিয়ায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২১ অক্টোবরের মধ্যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, এটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না।
অক্টোবর মাসের শুরুতে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি এরই মধ্যে হয়েছে। আর দুটি বাকি আছে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা এমনকি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশে বছরে দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। একটি মৌসুমি বায়ুর আগমনের আগে (এপ্রিল-মে) এবং অন্যটি মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর (অক্টোবর-নভেম্বর)। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে।