img

মালিবাগের সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার

প্রকাশিত :  ০৭:৪৭, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মালিবাগের সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার চার

রাজধানীর মালিবাগে আলোচিত ফরচুন শপিংমলের স্বর্ণের দোকান থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা ব্রিফিং করেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

শফিকুল বলেন, ১৯০ ভরি স্বর্ণ, ৯৩.৫ গ্রাম রুপা, নগদ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনই সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা স্বর্ণালংকারগুলো শম্পা জুয়েলার্সের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনার মূল অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের এক সদস্যের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে দেড়শ ভরির বেশি স্বার্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের কাছ থেকেও স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন শপিংমলের শম্পা জুয়েলার্স থেকে ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানায়, বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে মালিবাগের ফরচুন শপিংমলের শম্পা জুয়েলার্স নামের জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, চোর চক্রের দু’জন সদস্য বোরকা পরে জুয়েলারি দোকানটির শাটারের তালা কেটে এই স্বর্ণ চুরি করে।

শম্পা জুয়েলার্সের মালিকের দাবি, তার দোকানে ৪০০ ভরির মতো স্বর্ণের জুয়েলারি সাজানো ছিল। এ ছাড়াও ১০০ ভরির মতো বন্ধকি স্বর্ণ ছিল। সেই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার মতো নগদ টাকা ছিল। চোর চক্র সবকিছু লুটে নিয়ে যায়।


img

সাগরে লঘুচাপের আভাস, রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। তবে এখনই বৃষ্টি পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবারের (২১ অক্টোবর) মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আকাশ মেঘলা ও সেইসঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডে ৩, কক্সবাজারের আমবাগানে ৪ এবং কুতুবদিয়ায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২১ অক্টোবরের মধ্যে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, এটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না।

অক্টোবর মাসের শুরুতে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি এরই মধ্যে হয়েছে। আর দুটি বাকি আছে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা এমনকি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে।

বাংলাদেশে বছরে দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। একটি মৌসুমি বায়ুর আগমনের আগে (এপ্রিল-মে) এবং অন্যটি মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর (অক্টোবর-নভেম্বর)। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। 

বাংলাদেশ এর আরও খবর