img

১১১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, আছে যত শর্ত

প্রকাশিত :  ১৫:৪১, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

১১১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, আছে যত শর্ত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১১১ জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের পর চাকরি স্থায়ী করা হবে

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখার উপসচিব ডা. ফাহিম ইকবাল জাগীরদারের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদস্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের একটি স্মারকের ভিত্তিতে এ নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়।

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) হিসেবে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ (১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা) স্কেলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথমে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। আর শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক হলে বিধি অনুযায়ী স্থায়ী করা হবে।

এ ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্তদের মেধাতালিকা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। কেউ বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।

চাকরি সরকারের প্রচলিত বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এবং ভবিষ্যতে প্রণীত নতুন নীতিমালাও প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নিয়োগের পর কোনো ভ্রমণ বা দৈনিক ভাতা প্রদান করা হবে না।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীদের চার বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি) সম্পন্ন করতে হবে। কেউ মিথ্যা বা ভুয়া সনদ দিলে নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে যোগদান না করলে নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যোগদানপত্র জমা দেবেন। কর্মকর্তা প্রত্যয়নপত্র প্রদানের পর প্রার্থীরা বিদ্যালয়ে যোগ দেবেন। ওই তারিখই চাকরিতে যোগদানের দিন হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারি কোড ১২৪০২০৯০০০০০০ ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ’ খাত থেকে দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়নের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


img

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশিত :  ০৭:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরপরই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

ফেসবুক পোস্টে দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে আজ সকালে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ।

উপসচিব মিতু মরিয়মের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬ শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেয়া হবে। আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। 

এ আদেশ জারির পর, তা প্রত্যাখ্যান করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।