img

ফোন করে বলা হয়, তোমার মাথার দাম ১০ কোটি টাকা : সালাউদ্দিন আম্মার

প্রকাশিত :  ১২:০৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ফোন করে বলা হয়, তোমার মাথার দাম ১০ কোটি টাকা : সালাউদ্দিন আম্মার
ফলাফল ঘোষণার সময় সালাউদ্দিন আম্মারের পাশে ছিলেন তার মা।
ফলাফল ঘোষণার সময় সালাউদ্দিন আম্মারের পাশে ছিলেন তার মা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।

জিএস পদে নির্বাচন করে সালাউদ্দিন আম্মার ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজার ব্যালটে ভোট পড়েছে ৫ হাজার ৭২৭টি।

বড় ব্যবধানের এ বিজয়ের পর তার দেওয়া একটি সাক্ষাতকার আবারও আলোচনায় এসেছে। 

সালাউদ্দিন আম্মার মূলত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ পরিচিত মুখ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক। সে সময় তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন স্লোগান মাস্টার হিসেবে।

সে কারণে নানা ঝক্কিও পোহাতে হয়েছে তাকে। এতটাই যে, তার মাথার দামও ধরা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। ৫ আগস্ট লং মার্চের ঠিক আগে এমনটা জানতে পেরেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান আম্মার। তার কথা, ‘লংমার্চের আগের দিন একটা কল আসলো। ফোনের ওপাশ থেকে বলল, ‘সালাউদ্দিন, তোমার মাথার দাম ১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে স্নাইপার দিয়ে তোমাকে শুট করা হবে। তুমি সামনের রিকশায় যেও না।’

রাকসুর ফলাফল ঘোষণার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

এদিকে ফলাফল গোষণার পর সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমার সব থেকে সাহসের জায়গা ছিল আমার মা। রাকসু নির্বাচনেও সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমার মা। তাই গতকাল রাতে সাহস জোগাতে খুলনা থেকে রাজশাহীতে চলে এসেছেন। মাকে নিয়েই কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ফলাফল উপভোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে আমাকে মূল্যায়ন করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ আমি কখনোই ভুলবো না।


img

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশিত :  ০৭:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফলাফল ঘোষণার সময় সালাউদ্দিন আম্মারের পাশে ছিলেন তার মা।

পাঁচ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরপরই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

ফেসবুক পোস্টে দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে আজ সকালে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ।

উপসচিব মিতু মরিয়মের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬ শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেয়া হবে। আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। 

এ আদেশ জারির পর, তা প্রত্যাখ্যান করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।