img

কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসিতে পাশের হার ৪৮.৮৬, শতভাগ ফেল ৯ প্রতিষ্ঠানে

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসিতে পাশের হার ৪৮.৮৬, শতভাগ ফেল ৯ প্রতিষ্ঠানে

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ শামছুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। 

পাস এবং জিপিএ-৫র হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭০৭ জন। এরমধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭৪৯, ছেলেদের মধ্যে পেয়েছে ৯৫৮ জন।

চলতি বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৫৭ হাজার ৫২৪ জন এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৫২। পাস করে মোট ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। 

মেয়ে পরীক্ষার্থী পাস করেছে ৩০ হাজার ৭০১ জন, ছেলে পরীক্ষার্থী পাস করে ১৭ হাজার ৯৫৬ জন। মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ছেলেদের পাস হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। 

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নেয় ২৬ হাজার ২৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ হাজার ২৫১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

মানবিক বিভাগে ৪৮ হাজার ১২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ৫৯০ জন। পাসের হার ৪৪.০৮ শতাংশ।

বিজনেস স্টাডিজে (ব্যবসায় শিক্ষা) অংশ নেয় ২৭ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী; এর মধ্যে ১১ হাজার ৮১৬ জন পাস করেছে। যা ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এর আগে এই বোর্ডে ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৯, ২০২২ সালে ৯০ দশমিক ৭২, ২০২৩ সালে ৭৫ দশমিক ৩৯, ২০২৪ সালে ৭১ দশমিক ১৫ এবং এবার ২০২৫ সালে পাস করেছে ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।

এবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ৯ কলেজে কেউ পাশ করেনি। অপরদিকে শতভাগ পাশ করেছে ৫টি কলেজ।

ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের প্রফেসর রুনা নাসরিন জানান, কেন্দ্র ভ্যানু পরিবর্তন হওয়া, নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ, সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন এসব কারণে ফলাফল নিম্নগামী।



img

শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫২, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

 অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করেছে। 

সেখানে বলা হয়, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) প্রদান করা হলো।

শর্তসমূহে উল্লেখ করা হয়— উক্ত বাড়িভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে; বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে।

এছাড়া বর্ণিত ভাতাদি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীগণ কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না; ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে; এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন; প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জি.ও জারি করে জি.ও-এর ৪ (চার) কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য প্রেরণ করতে হবে।

এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ হতে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষকরা বেশ কিছুদিন যাবত আন্দোলন করে যাচ্ছেন। গতকাল শনিবারও তারা আমরণ অনশনের পাশাপাশি কালো পতাকা মিছিল করেছেন। আজ রোবার দুপুর ১২টায় শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি হাতে ভুখা মিছিল করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তারা। 

এমন প্রেক্ষাপটে তাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল সরকার।

তবে শিক্ষকদের তিন দফা দাবি ছিল। যার মধ্যে মূল বেতনের ওপর ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা (বোনাস) দিতে হবে।