img

রাকসু নির্বাচন: শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলছে গণনার প্রস্তুতি

প্রকাশিত :  ১২:৫৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৪৬, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

 রাকসু নির্বাচন: শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলছে গণনার প্রস্তুতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা। ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। ফলাফল ঘোষণা করা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে।

এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে আসতে শুরু করেছে ব্যালট পেপার। সব ব্যালট পেপার আসলেই শুরু হবে ভোট গণনা, জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ।

তিনি বলেন, ভোট শেষে আমাদের নিজস্ব গাড়িতে করে ব্যালট বক্সগুলো পুলিশী পাহারায় ভোট ফলাফল সেন্টারে আনা হচ্ছে। এরপর সেগুলো সর্টিং করে ভোট গণনার কাজ শুরু হবে।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগে মেয়েদের হলগুলোর ফলাফল হবে, এরপর ছেলেদের। সর্বশেষ রাকসুর ফলাফল ঘোষণা হবে।

এবার কেন্দ্রীয় সংসদে ২৩টি পদে ৩০৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার আশায় কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। ৯টি একাডেমিক ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথে হয় ভোটগ্রহণ। এবার ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি আসলে অনেক আনন্দিত। প্রথমবার ভোট দিচ্ছি। তার উপর ৩৫ বছর পরে ভোট হচ্ছে। আমরা অনেকটা সৌভাগ্যবান যে, ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ৩৫ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে। আমি খুবই আনন্দিত। ভোটের পরিবেশ অনেক সুষ্ঠু।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ২৩টি পদের মধ্যে রাকসুতে ২৪৭ জন, ১৭টি হল সংসদে ৫৫৫ জন এবং সিনেট ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে রয়েছেন ১৬ জন।

img

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশিত :  ০৭:৩৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরপরই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন।

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

ফেসবুক পোস্টে দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে আজ সকালে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ।

উপসচিব মিতু মরিয়মের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬ শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেয়া হবে। আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। 

এ আদেশ জারির পর, তা প্রত্যাখ্যান করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।