img

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশিত :  ১২:৩৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠিতব্য আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সৈন্য পাঠানোর সম্ভাব্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়ার নাম সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে পলিটিকো।

যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং সাবেক এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তিন দেশকে ‌সৈন্য সরবরাহের শীর্ষ প্রার্থী” হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও এখনো কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণে সম্মতি জানায়নি।

এর আগে বুধবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা জানান, ইন্দোনেশিয়া ও আজারবাইজানের পাশাপাশি মিশর, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও (ইউএই) গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স) সৈন্য পাঠাতে পারে।

ইন্দোনেশিয়াই এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ, যারা প্রকাশ্যে সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। 

দেশটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের অনুমোদনে শান্তিরক্ষী মিশনের আওতায় তারা ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা বা ম্যান্ডেটের উল্লেখ নেই।

তথ্যের উৎস না জানিয়ে পলিটিকো আরও জানিয়েছে—যে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের সেনারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে অবস্থান করবে, যাতে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করা যায়।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্র করাই এখন মার্কিন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এখন পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে এগোচ্ছে—হামাসকে অস্ত্র সমর্পণে বাধ্য করা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‌‘অনেকে বলে, ‘‘ওরা নিরস্ত্র হবে না।’’ আমি বলি, ওরা নিরস্ত্র হবে। আমি হামাসের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, ‘তোমরা নিরস্ত্র হবে, তাই তো?’ তারা বলেছে, ‘‘জি স্যার, আমরা নিরস্ত্র হব।’’ ওরা নিরস্ত্র হবে, নতুবা আমরা ওদের নিরস্ত্র করব—বুঝেছ?’

সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো মনে করেন, এখনই আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর কাঠামো নির্ধারণ ও সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে সামনে আনা যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, ‘গতি ও অগ্রগতি দেখানো এখন গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন দেশ অংশ নেবে তা নির্ধারণ করা, ম্যান্ডেট ও কাঠামো চূড়ান্ত করা এবং দেখানো যে সৈন্যরা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত—এসবই পরিকল্পনার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’


 

img

৪৫ জনকে হত্যা করে গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা ইসরাইলের

প্রকাশিত :  ০৫:৫৮, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০২, ২০ অক্টোবর ২০২৫

গাজা উপত্যকায় টানা হামলার মধ্যে একদিনে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পরদিনই আংশিক যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। 

গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময়  সকালে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একের পর এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু বলে জানান চিকিৎসকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকার নুসাইরাত, খান ইউনিস, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকায় হামলা চালানো হয়। আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র অভিজাত শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানায় আল-আওদা হাসপাতাল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের দাবি, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। 

রাফা এলাকায় চালানো এক হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।

তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করে হামাস হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের কাসেম ব্রিগেডসের এক কমান্ডারসহ ৬ জন সদস্যকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং গাজায় সিরিজ হামলার পর, হামাসের ভঙ্গ করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে, একই দিনে হামাস ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। তবে জিম্মিদের পরিচয় ও কীভাবে তারা মারা গেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর