img

গাজায় জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু: প্রথম ধাপে মুক্তি পেলেন ৭ জন

প্রকাশিত :  ০৮:০২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু: প্রথম ধাপে মুক্তি পেলেন ৭ জন

দখলদার ইসরাইলের সাত জিম্মিকে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির (আইসিআরসি) হাতে তুলে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, গাজায় রেড ক্রস সাতজন জিম্মিকে গ্রহণ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সেনাবাহিনী জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)  তাদের জানিয়েছে,  হামাস সাতজন জিম্মিকে সংগঠনটির কাছে হস্তান্তর করেছে।

পোস্টে আরও বলা হয়, রেড ক্রস বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও শিন বেতের সদস্যদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। 

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে সাত জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা হলেন যমজ সন্তান গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর ও গাই গিলবোয়া-দালাল।

এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন হাজারো ইসরাইলি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্তির খবরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন, গান গাইছেন এবং কেউ কেউ ইসরাইলের পতাকা উড়াচ্ছেন।

অপরদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিশাল জনতা জড়ো হচ্ছে। সেখানে শিগগিরই নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে শত শত মুক্ত ফিলিস্তিনি পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে বন্দি বিনিময়ের জন্য মোট ২০ জন ইসরাইলি জিম্মির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। বর্তমানে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে এখনো এই ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। 


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর