img

মিশরে গাজা শান্তি সম্মেলন সোমবার, সভাপতিত্ব করবেন ট্রাম্প-সিসি

প্রকাশিত :  ০৬:৪৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫

মিশরে গাজা শান্তি সম্মেলন সোমবার, সভাপতিত্ব করবেন ট্রাম্প-সিসি

গাজায় যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামীকাল সোমবার মিসরে অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন। 

শনিবার (১২ অক্টোবর) মিশরের প্রেসিডেন্টের দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বৈঠকে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের নেতারা অংশ নেবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈঠকের লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকার যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন যুগের সূচনা করা।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এরইমধ্যে এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা হামাসের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে থাকবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

সম্মেলনের ঘোষণাটি এমন সময়ে আসলো, যখন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজার উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত মানুষজন আবারো তাদের পুরোনো বাসস্থানে ফিরে আসছেন। 

গত কয়েক সপ্তাহের ভারি বোমাবর্ষণে এলাকাটি এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে যা সেখানকার মানুষ কল্পনাও করেননি। তবুও তারা নিজের এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন।

প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। এর সপ্তাহ খানেক পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন তিনি।

ট্রাম্পের ওই ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মানতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে ইসরাইলি সরকার এবং এদিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

গাজায় ফের হামলা শুরু করতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রীরা

প্রকাশিত :  ১৪:৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪২, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় আবারও আক্রমণ শুরু করার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরসহ একাধিক মন্ত্রী ।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) আল জাজিরা জানিয়েছে, বেন-গভির এক্স-পোস্টে বলেন, তিনি চান ইসরায়েলি বাহিনী 'সর্বোচ্চ শক্তির সঙ্গে গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করুক'।

আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ সকালে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর মন্ত্রীদের এ বক্তব্য এলো।

ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এক্স-পোস্টে একটি শব্দ লিখে একই ইঙ্গিত দিছেন: 'যুদ্ধ!'

প্রবাসী বিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি বলেন, 'যতদিন হামাস থাকবে, যুদ্ধ থাকবেই।'

নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য আভি ডিচটার পরিস্থিতিকে 'কঠিন ও জটিল' বলে বর্ণনা করেছেন এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, সমস্ত জীবিত জিম্মিরা আমাদের হাতে, পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইসরায়েল হামাসকে নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে হাল ছাড়বে না।

দীর্ঘদিনের গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মাঝে কয়েকদিন আগে মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে হামাস ও ইসরায়েল। তবে কয়েকদিন না গড়াতেই ইসরায়েলি মন্ত্রীদের এসব মন্তব্য তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর