img

মিশরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৬, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মিশরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ দিয়েছে মিশর। গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

মিশর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। এতে ২০টির বেশি দেশের নেতা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজে বের করাই ছিল এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ হচ্ছে খাঁটি সোনার তৈরি একটি কলার, যাতে ফারাও যুগের নকশা খোদাই করা থাকে। এটি সমৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়িত্ব ও অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

এক শতাব্দীর বেশি সময় আগে চালু হওয়া এই পুরস্কার মিসরের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হিসেবে পরিচিত, যা খুব অল্পসংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, জর্ডানের রাজা হুসেইন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা এবং স্পেনের রাজা ফেলিপ-ষষ্ঠ। ট্রাম্প হচ্ছেন দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি এই সম্মান পেলেন। এর আগে ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদনের জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া মিশরের নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী আহমেদ জুয়েইল, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ এলবারাদেই, সাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ এবং প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতও এই সম্মাননা পেয়েছেন।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর