img

যে কারণে স্বর্ণের দামে বড় পতন

প্রকাশিত :  ১৫:০২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

যে কারণে স্বর্ণের দামে বড় পতন

বিশ্ব বাজারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ব্যাপক উত্থান দেখা দিয়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য ৪,৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক বৃদ্ধি হিসেবে রেকর্ড করা হলো।

রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর স্বর্ণের দামে হঠাৎ বড় পতন ঘটেছে। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে নিয়ে নতুন মন্তব্য ও ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে দাম কমে গেছে ২ শতাংশেরও বেশি। 

রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে (ইস্টার্ন টাইম ১টা ৩৮ মিনিটে) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২১১ দশমিক ৪৮ ডলারে। 

এর আগে সেশন চলাকালে দাম উঠেছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৬৯ ডলারে। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো স্বর্ণ ৪ হাজার ৩০০ ডলার সীমা অতিক্রম করেছিল। তবুও সপ্তাহজুড়ে এর মোট বৃদ্ধি প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন সোনার ফিউচারও ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে বন্ধ হয় ৪ হাজার ২১৩ দশমিক ৩০ ডলারে। 

অন্যদিকে, ডলার সূচক (ডিএক্সওয়াই) বেড়েছে ০ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য ডলার নির্ধারিত স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যায়।

শুক্রবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি শিগগিরই চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যা যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সংঘাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত করেছে।

বিশ্লেষক তাই ওয়ং বলেন, ট্রাম্পের আগের ঘোষণার পর তুলনামূলক নরম সুর বাজারে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়েছে।

স্বর্ণকে সাধারণত অনিশ্চয়তার সময়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়। চলতি বছর এ ধাতুর দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশেরও বেশি। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয়, ডলার থেকে বিনিয়োগ সরে যাওয়া এবং ইটিএফ ফান্ডে প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার সম্ভাবনাও এতে সহায়তা করেছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১

প্রকাশিত :  ০৬:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো। 

 আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। 

তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’

সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। 

সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে  যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।

এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক এর আরও খবর