img

সিলেটে মধ্যরাতে সিপিবি নেতাকে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ০৫:১৮, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩০, ০১ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটে মধ্যরাতে সিপিবি নেতাকে গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ তাকে আটক করে বলে জানিয়েছেন সিপিবি সিলেটের সাবেক সভাপতি, প্রবীন বাম নেতা বেদানন্দ ভট্টাচার্য।

তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১২ টার দিরক নগরের আখালিয়া কালিবাড়ি এলাকার বাসা থেকে সুমনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মবশ্বির আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

তবে মধ্যরাতে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আনোয়ার হোসেন সুমন ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ব্যাটারি রিকশার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার নগরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা। এতে আনোয়ার হোসেন সুমনও সম্পৃক্ত ছিলেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সুমনসহ কয়েকজন মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে সাক্ষাত করেন। এরপর দাবি আদায়ে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শ্রমিকরা। এরমধ্যে দাবি পুরণ না হলে রোববার অনশন কর্মসূচীর ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

তার আগের রাতেই সুমনকে আটক করা হলো।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে সংঘাতের আশঙ্কায় ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের রোববারের কর্মসূচী পালনের অনুমতি দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত :  ১৭:০১, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার রাতে আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

গত সোমবার দেশের অন্যান্য আসনের সাথে সিলেটের ৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। তবে সিলেট-৪ ও সিলেট-৬ আসনে সেদিন কোন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আরিফুল হককে দল থেকে একাধিকবার সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তাতে সম্মত হননি আরিফ। তিনি সবসময়ই সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিলেট-১ আসন অথবা সিঠের সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন।

সর্বশেষ সোমবার বিভিন্ন আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিএনপির শীর্ষ নেতবেৃন্দের পক্ষ থেকে জরুরী তলব দিয়ে আরিফকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার ও বুধবার আরিফের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এসব বৈঠকে আরিফুল হককে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি প্রথমে সম্মত হননি বলে জানা গেছে। এরপর বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে বাসায় ডেকে পাঠান।

রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে আরিফুল হক ওই আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হন।

সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা থেকে রাতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। তাঁর নির্দেশে আমি সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছি। দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। আজকের সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি।

আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লৈগৈর প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করে সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তবে সর্বশেষ ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা মেনে প্রার্থী হননি তিনি।


সিলেটের খবর এর আরও খবর