img

তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কিছু জানে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৯:০৩, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কিছু জানে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে এখনো পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি। ‘চাইলেই তা দেওয়া হবে’ উল্লেখ করে তিনি জানান, লন্ডনে থাকা বিএনপি নেতার ঢাকায় আসার বিষয়ে সরকারকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পরিবার বা দল সিদ্ধান্ত নিলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে ৩০ নভেম্বর তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে এক দিনের মধ্যেই তাকে ‘ওয়ান টাইম পাস’ দেওয়া সম্ভব। তার ভাষায়, ‘আজ যদি বলেন আসবেন, আগামীকাল পাস দেওয়া যাবে, পরশুদিনই উনি প্লেনে উঠতে পারবেন।’

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তির পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পরিবারসহ লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি এবং তখন থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন।


জাতীয় এর আরও খবর

img

রামপুরায় ২৮ হত্যাকাণ্ড: কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির দুই সেনা কর্মকর্তা

প্রকাশিত :  ০৬:২৫, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর রামপুরায় জুলাই-আগস্টে ২৮ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার পর ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আনা হয়। এ মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করবে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ শুনানি হবে।

এদিকে, আজও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের আশপাশ এলাকা। হাইকোর্টের মূল অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

রেদোয়ানুল ছাড়া অপরজন হলেন বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। পলাতকরা হলেন—ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।

পলাতকদের পক্ষে গত ২৪ নভেম্বর স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ওই দিন দুই সেনা কর্মকর্তার হয়ে আইনি লড়াই করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন। তিনি নিজের ক্লায়েন্টদের সশরীরে হাজির না হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানি বা হাজিরার আবেদন করেন। তবে এ বিষয়ে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলেছে। এর মধ্যে রামপুরায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

এছাড়া অন্যরাও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ হত্যাযজ্ঞে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ট্রাইবুনালে চারজনের বিরুদ্ধে আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।