img

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৫:৩৬, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

আজ বুধবার  (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার পর হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালের নিচ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগতম জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি চেয়ারপারসনের কাছে নিয়ে গেছেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার।

এর আগে গতকাল (২ ডিসেম্বর) রাত আটটার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে তিন বাহিনীর প্রধানরা এভারকেয়ারে গিয়েছিলেন। তারা মেডিকেল বোর্ড সদস্যদের কাছ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং রাত ৯টা ২০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বিদায় নেন।

৮০ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। পূর্ণ সুস্থতার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। 

এছাড়া হাসপাতালে খালেদা জিয়ার পাশেই রয়েছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।


জাতীয় এর আরও খবর

img

দূষণে শীর্ষে ঢাকা, যেসব এলাকা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

প্রকাশিত :  ০৫:১৬, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে । এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৩০২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রকাশিত বায়ুমান সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দূষণের শীর্ষে থাকা ঢাকার চার এলাকায় বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে।

এগুলো হলো—মিরপুরের দক্ষিণ পল্লবী (৩৭৪) ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (৩৫৪), মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (৩৩৪) এবং কল্যাণপুর (৩০৪)। এ ছাড়া গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৮৭) ও পীরেরবাগ রেললাইন (২০২) এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। 

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো—বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ সকালে ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ২৭ গুণেরও বেশি রয়েছে।

সকালে দেশের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সূচকে ৩০০ পার করলে যেখানে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করা হয়, সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার স্কোর ৪১২। এছাড়া দেশের আরেক বিভাগীয় শহর খুলনার বাতাসও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। এই শহরের একিউআই স্কোর ৩০২।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।