img

খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত :  ১৪:০২, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:১২, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ছেলে তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে যুবদল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অনেক সংকট-উৎকন্ঠার মধ্যেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি; তিনি চিকিৎসা নিতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। সঠিক সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করলে আজকের অবস্থা হতো না।

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এরপর গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, গত রাত থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে দুই দিকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সংশ্লিষ্ট লোকজন ছাড়া অন্যদের ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।

উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পাশাপাশি আশপাশে কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে, হাসপাতালের আশপাশে ভিড় ঠেকাতে ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


জাতীয় এর আরও খবর

img

দূষণে শীর্ষে ঢাকা, যেসব এলাকা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

প্রকাশিত :  ০৫:১৬, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে । এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৩০২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রকাশিত বায়ুমান সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দূষণের শীর্ষে থাকা ঢাকার চার এলাকায় বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে।

এগুলো হলো—মিরপুরের দক্ষিণ পল্লবী (৩৭৪) ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (৩৫৪), মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (৩৩৪) এবং কল্যাণপুর (৩০৪)। এ ছাড়া গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৮৭) ও পীরেরবাগ রেললাইন (২০২) এলাকায় বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। 

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো—বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ সকালে ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ২৭ গুণেরও বেশি রয়েছে।

সকালে দেশের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সূচকে ৩০০ পার করলে যেখানে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করা হয়, সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার স্কোর ৪১২। এছাড়া দেশের আরেক বিভাগীয় শহর খুলনার বাতাসও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। এই শহরের একিউআই স্কোর ৩০২।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।