img

কর্মবিরতি স্থগিত করে বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরছেন মাধ্যমিক শিক্ষকরা

প্রকাশিত :  ১৭:৫৪, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:০০, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

কর্মবিরতি স্থগিত করে বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরছেন মাধ্যমিক শিক্ষকরা
নবম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে দেশের সাত শতাধিক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)। 
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এর ফলে আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় ফিরছেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়-এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাসমাশিস ঘোষিত কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যে মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন, তা অনুধাবন করে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
‘আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও তাদের শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। তাই আগামীকাল (৩ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি, ভবিষ্যতে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে আর বাধাগ্রস্ত না হয়। যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা গতকাল (১ ডিসেম্বর) থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে গতকাল (১ ডিসেম্বর) ও আজ (২ ডিসেম্বর) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছিল।

তাদের চারটি দাবি হলো-

১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ।

২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।

৩. সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া।

৪. ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল ব্রিটেনের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ১৭:১৯, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের ওপর সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়মকানুনে যে কঠোরতা এনেছে, তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে এমন সিদ্ধান্ত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রমাণ করতে হবে যে শিক্ষার্থীরা আসলেই পড়ার জন্য সে দেশে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থী ভিসাকে চোরাপথ হিসেবে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে না।

যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের জারি করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকতে হবে, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। ভর্তির অনুমতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার নিয়মেও কঠোরতা এনেছে ইউকে হোম অফিস।

অর্থাৎ ভর্তির আবেদন গৃহীত হওয়া শিক্ষার্থী আসলেই ভর্তি হলেন কি না, কোর্স শেষ করলেন কি না, এসব নিশ্চিত করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এসব নিয়ম না মানতে পারলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নেওয়ার লাইসেন্সও হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হার নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেক ওপরে– ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২২ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৮ শতাংশ।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানাচ্ছে, এই এক বছরে বিশ্বজুড়ে যে ২৩ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইউকে হোম অফিস, তার অর্ধেকই এই দুই দেশের! সে কারণে এই দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ফলে এ দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনই সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

৯ বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার: ২০২৬ সালে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে না।

ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন: আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী নেবে না।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন: পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নেওয়া বন্ধ রেখেছে।

সান্ডারল্যান্ড ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের আবেদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী নেবে না।

অক্সফোর্ড ব্রুকস: ২০২৬ সালে আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রামে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন নেবে না।

লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন বন্ধ রেখেছে।

গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটি: ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর ইনটেইকে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করবে না। তবে ২০২৬ সালে কিছু কোর্সে আবেদনের পথ খোলা আছে।