img

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু

প্রকাশিত :  ০৫:৩৪, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫৩, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু

দেশজুড়ে ৩ দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবিতে। আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত। 

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষিত দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পাওয়ায় এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ, সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম জানান, তাদের দাবিগুলো হলো: সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড দেওয়া, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন। তিনি বলেন, আশ্বাসের বাইরে কোনো বাস্তব অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার রাতে প্রকাশিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সরকার দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় কর্মসূচি জোরদার করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। দাবি আদায়ে অগ্রগতি না হলে সহকারী শিক্ষকদের এই সংগঠন বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনসহ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা অসন্তুষ্ট। 

তাদের ভাষ্য হলো, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি নিয়েই দশম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড বা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন: শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রকাশিত :  ১২:০৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশনা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর বার্তা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি গ্রহণ সরকারি চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি’।

এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং কোথাও কোথাও পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।দাবি বাস্তবায়ন: মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবিসহ অন্য দুটি দাবি (১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি) বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়টি পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণকে অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।অন্যথায় এ ধরণের শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।\"