img

আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর বার্তা

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্দোলনরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কঠোর বার্তা

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সরকারি কর্মচারী বিধি লঙ্ঘনের শামিল। ফলে তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন।

গতকাল সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আন্দোলনের নামে যা করছেন, তা সরকারি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল। সরকারি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে। এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, না আমরা অবশ্যই মনে করি যে, বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যে অবস্থান নিয়েছেন, যেমন অনেক স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে আবার অনেক স্কুলে হয়নি, এটা একেবারেই অনভিপ্রেত একটি ঘটনা।

তিনি বলেন, এটা অন্যায়, অন্যায্য যে, তারা নবম গ্রেডে আসতে চাচ্ছে। কারণ চাকরি যখন নিয়েছিলেন তারা জানতেন তারা দশম গ্রেডে থাকবেন। সেখান থেকে নবম গ্রেডের এই দাবি, এটা তাদের চাকরির শর্তের মধ্যে মোটেই ছিল না। সুতরাং এই এটা একটা অন্যায্য ও অন্যায় দাবি।

তিনি বলেন, আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে নবম গ্রেডে বিসিএস এডমিন ক্যাডাররা আসেন। কাজেই এটা এককভাবে তাদের সঙ্গে সমাধানের কোনো বিষয় না। এটা হচ্ছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়। এই পদে যে কেউ হুট করে চাইলেই যেতে পারে না।

উপদেষ্টা বলেন, নবম গ্রেডে যাওয়ার ক্ষেত্রে কম্পারেটিভ একটা বিষয় এখানে রয়েছে। সে কারণে আমরা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দিন দুয়েক আগে তারা এই দাবি উত্থাপন করেছে। এমন সময় যখন তাদের স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। অথবা কোন কোন জায়গায় বার্ষিক পরীক্ষা বা টেস্ট পরীক্ষা যখন হবে। মূলত তারা যে হাতিয়ারটা ব্যবহার করছেন সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন। যেটা শিক্ষক হিসেবে চরম একটি অনৈতিক কাজ তারা করছেন।

উপদেষ্টা বলেন, কাজেই আমরা তাদের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমরা তাদের বলছি যে, আপনারা আগামীকাল থেকে পরীক্ষা নেন। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধি লঙ্ঘনের দায়ে যে, শাস্তি রয়েছে সেগুলোর জন্য আপনাদের কিন্তু তৈরি থাকতে হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকার একেবারে দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান ব্যক্ত করছে। পরীক্ষায় কোনো রকমের আপস এখানে হবে না। পরীক্ষা আপনাদেরকে নিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর যে চাপ সেটা যেন লাঘব হয়।

উপদেষ্টা বলেন, আজকে সন্ধ্যায় সমস্ত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সবাই জানাচ্ছেন, পরীক্ষা দিতে ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহী, অভিভাবকরা আগ্রহী। তবে একটি অংশ পরীক্ষা নিচ্ছে না। আমি বলব, শিক্ষকরা আগামীকাল তাদের স্কুলের পরীক্ষা নেবেন। অন্যথায় তারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন: শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রকাশিত :  ১২:০৪, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশনা নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর বার্তা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মসূচি গ্রহণ সরকারি চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি’।

এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন চলমান বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং কোথাও কোথাও পরীক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।দাবি বাস্তবায়ন: মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবিসহ অন্য দুটি দাবি (১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি) বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বেতন স্কেল উন্নীতকরণের বিষয়টি পে-কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই অর্থ বিভাগ কর্তৃক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণকে অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।অন্যথায় এ ধরণের শৃঙ্খলা-বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।\"