img

স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রকাশিত :  ০৯:২২, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন। আজ রোববার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সহকারী শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান দাবি— বর্তমান ১৩তম গ্রেড থেকে বেতন স্কেল উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে উন্নয়ন।

এ ছাড়া শনিবার শাহবাগে কলম সমর্পণ কর্মসূচির সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে বহু শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনাতেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, পুলিশের এ হামলা ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।

এর আগে শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা।

তখন শিক্ষকরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি সংগঠনের ব্যানারে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালনের জন্য তারা শাহবাগের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।

শিক্ষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন, যেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল ব্রিটেনের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ১৭:১৯, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩২, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রিটেনের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের ওপর সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়মকানুনে যে কঠোরতা এনেছে, তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে এমন সিদ্ধান্ত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রমাণ করতে হবে যে শিক্ষার্থীরা আসলেই পড়ার জন্য সে দেশে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থী ভিসাকে চোরাপথ হিসেবে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে না।

যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের জারি করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকতে হবে, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। ভর্তির অনুমতি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার নিয়মেও কঠোরতা এনেছে ইউকে হোম অফিস।

অর্থাৎ ভর্তির আবেদন গৃহীত হওয়া শিক্ষার্থী আসলেই ভর্তি হলেন কি না, কোর্স শেষ করলেন কি না, এসব নিশ্চিত করতে হবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এসব নিয়ম না মানতে পারলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নেওয়ার লাইসেন্সও হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হার নির্ধারিত সীমার চেয়ে অনেক ওপরে– ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২২ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৮ শতাংশ।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানাচ্ছে, এই এক বছরে বিশ্বজুড়ে যে ২৩ হাজার ৩৬ জন শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইউকে হোম অফিস, তার অর্ধেকই এই দুই দেশের! সে কারণে এই দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ফলে এ দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনই সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাখছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

৯ বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার: ২০২৬ সালে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে না।

ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন: আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী নেবে না।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন: পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নেওয়া বন্ধ রেখেছে।

সান্ডারল্যান্ড ও কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের আবেদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী নেবে না।

অক্সফোর্ড ব্রুকস: ২০২৬ সালে আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রামে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন নেবে না।

লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন বন্ধ রেখেছে।

গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটি: ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর ইনটেইকে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করবে না। তবে ২০২৬ সালে কিছু কোর্সে আবেদনের পথ খোলা আছে।