কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

img

ফজলুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে: ডাকসু

প্রকাশিত :  ১৯:১৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফজলুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে: ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাছে তার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু নেতারা।

আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া মস্তিষ্ক’, ‘ট্রেন্ডে গা ভাসানো’, ‘দাসী’, ‘পশ্চাদপদ’ ইত্যাদি ঘৃণিত বিশেষণে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফজলুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাটহাজারী মাদরাসায় রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।

ডাকসু জানায়, এসব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ফজলুর রহমান শিক্ষার্থীদের প্রতি তার চরম বিদ্বেষ ও সামাজিক বিভাজনের বর্ণবাদী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘৃণ্য মনোভাব জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসাম্প্রদায়িক, মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও মতাদর্শ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমান মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই একটি বহুসাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শতবর্ষ অতিক্রম করেছে।

ডাকসু জানায়, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেওয়া ফজলুর রহমানের ঘৃণ্য ও বর্ণবাদী বক্তব্য শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের অবমাননা।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নিন্দনীয় বক্তব্যের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

ডাকসু আরও জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভেদমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে যেকোনো অবমাননাকর ও বর্ণবাদী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ডাকসুর অবস্থান দৃঢ় থাকবে।


শিক্ষা এর আরও খবর

img

‘প্রেমঘটিত’ কারণে খুন জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ, চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত :  ০৬:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫

চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ঘটনায়  । আটক তার ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন প্রেমঘটিত কারণে খুন হয়েছেন জোবায়েদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ছাত্রী বর্ষা জানিয়েছেন, তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের প্রেমঘটিত জটিলতার জেরেই খুন হন জোবায়েদ। তবে খুনের পরিকল্পনা বা বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন বর্ষা।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, বর্ষা ও মাহিরের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ছোটবেলা থেকে পাশাপাশি বাড়িতে বেড়ে ওঠেন। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

ওসি আরও বলেন, বর্ষা তার সাবেক প্রেমিক মাহিরকে জানিয়েছিলেন, তিনি জোবায়েদকে পছন্দ করেন, যদিও তাকে তা সরাসরি বলেননি। এতে রাগে ও ক্ষোভে মাহির তার বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করেন।

‘জোবায়েদ ও বর্ষার মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। জোবায়েদ গত এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার ১৫, নুরবক্স লেনে বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। রোববার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ওই বাসার সিঁড়িতে তাকে খুন করা হয়। ঘটনাস্থল জুড়ে রক্তের দাগ পাওয়া যায়।’

ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বর্ষার মুখে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। তিনি পুরো সময় শান্ত ও চিন্তামুক্ত ছিলেন। তদন্ত চলছে, ঘটনার পেছনের সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, জোবায়েদ খুনের পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জবি শিক্ষার্থীরা। তারা বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে বর্ষাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জোবায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাহির রহমান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

নিহত জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।