img

‘গাজায় যুদ্ধ শেষ’ বললেন ট্রাম্প, জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় ইসরায়েলি

প্রকাশিত :  ০৫:৪৭, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

‘গাজায় যুদ্ধ শেষ’ বললেন ট্রাম্প, জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় ইসরায়েলি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় \'যুদ্ধ শেষ হয়েছে\' এবং যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে। ‘যুদ্ধ সমাধানে আমিই ভালো। শান্তির জন্য আমি ভালো’ সাংবাদিকদের বলেছেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে একথা বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে তার খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি (নেতানিয়াহু) চমৎকার কাজ করেছেন। কিছু বিষয়ে তার সাথে আমার মতপার্থক্য ছিলো এবং সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।’

কাতারের প্রশংসা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটির কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। আমি মনে করি যেভাবে কাতার আমাদের সহায়তা করেছে তা অসাধারণ।

এর আগে বারবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে তার আগ্রহের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন “গাজায় সংঘাত হলো অষ্টম যুদ্ধ যা আমি সমাধান করেছি। আমি নোবেলের জন্য করিনি। আমি এগুলো করেছি জীবন রক্ষার জন্য।”

এ সময় তিনি জানান যে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা তিনি শুনেছেন।

ওদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজা শান্তি বৈঠকের আয়োজন করছেন। মিশরে এই বৈঠকে যারা যোগ দিবেন, তাদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্র, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎস, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ।

তেলআবিবে জড়ো হচ্ছে মানুষ

দীর্ঘ অপেক্ষার পর জিম্মি থাকা প্রিয়জনকে স্বাগত জানাতে তেলআবিবে জড়ো হতে শুরু করেছে ইসরায়েলিরা। সেখানে বড় পর্দার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা।

সেখান থেকেই জিম্মিদের মুক্তির দৃশ্য সরাসরি দেখতে পাবে মানুষ। কয়েক মাস ধরে এই চত্বরেই নিয়মিত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে সমাবেশ হয়েছে।

ওদিকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে, এর আগে জিম্মিরা যে প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেয়েছিলেন এবারেও তাই হবে। জিম্মিদের আইডিএফের হাতে হস্তান্তর করবে রেডক্রস। পরে তাদের ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটিতে নেওয়া হবে।

একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পরিবারের সদস্যরা তাদের অভ্যর্থনা জানাবেন।

জিম্মিদের মধ্যে কারা জীবিত আছে

আজই হামাস ৪৮ জিম্মিকে মুক্তি দিবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে বলে মনে করা হয়।

এরা হলেন- অ্যারিয়েল কুনিও ও তার ভাই ডেভিড কুনিও। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর তারা অপহৃত হয়েছিলেন। পরিবারের কাছে পাঠানো সবশেষ বার্তায় তিনি বলেছেন, \"আমরা একটা হরর মুভির মধ্যে আছি\"।

এভিয়াটার ডেভিড, তাকে নোভা উৎসব থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। গালি ও জিভ বারম্যান- ২৮ বছর বয়সী দুই জমজ ভাই। তাদের কিবুৎয কেফার আজা থেকে অপহরণ করেছিল হামাস।

ওমরি মিরান। অপহৃত হয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে এখন বেঁচে থাকাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বয়সী। তার বয়স ৪৮।

বাকী জিম্মিরা হলেন- মাতান আংরেস্ট (২২), মাতান জানগৌকার (২৫), নিমরদ কোহেন (২১), গাই গিলবোয়া ডালাল (২৪), ইয়োসেফ চাইম ওহানা (২৫), এলকানা বহবত (৩৬), আভিনাতান ওর (৩২), এইতান ওর (২৫), বার কুপারশটেইন (২৩), সেগেভ কালফন (২৭) ও রম ব্রাসলাভস্কি (২১)।

img

৪৫ জনকে হত্যা করে গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা ইসরাইলের

প্রকাশিত :  ০৫:৫৮, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০২, ২০ অক্টোবর ২০২৫

গাজা উপত্যকায় টানা হামলার মধ্যে একদিনে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পরদিনই আংশিক যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। 

গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময়  সকালে গাজার খান ইউনিস এলাকায় একের পর এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অনেকে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু বলে জানান চিকিৎসকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকার নুসাইরাত, খান ইউনিস, রাফাহ ও আল-জাওয়াইদা এলাকায় হামলা চালানো হয়। আল-জাওয়াইদা শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র অভিজাত শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানায় আল-আওদা হাসপাতাল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের দাবি, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। 

রাফা এলাকায় চালানো এক হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।

তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উল্লেখ করে হামাস হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা শহরে বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের কাসেম ব্রিগেডসের এক কমান্ডারসহ ৬ জন সদস্যকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি পুনঃকার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং গাজায় সিরিজ হামলার পর, হামাসের ভঙ্গ করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে, একই দিনে হামাস ২ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। তবে জিম্মিদের পরিচয় ও কীভাবে তারা মারা গেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর