img

‘অসামাজিক কাজের’ অভিযোগে নারীর গলায় জুতার মালা, কাটা হলো চুল

প্রকাশিত :  ০৮:২১, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

‘অসামাজিক কাজের’ অভিযোগে নারীর গলায় জুতার মালা, কাটা হলো চুল

‘অসামাজিক কাজের’ অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে এক নারীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তার মাথার চুলও কেটে দেওয়া হয়। ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয় ওই নারীর ঘরে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে; তদন্ত চলছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে রহনপুর পৌর এলাকার হুজরাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তবে রোববার রাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারীর বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তি ও মাদক কারবারের অভিযোগ তুলে তার বাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। এ সময় ওই নারীকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় এনে হেনস্তা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হুজরাপুর এলাকার বাসিন্দা এক নারী দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে দেহব্যবসা ও মাদক কারবারের মতো অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে একাধিকবার সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু বারবার সতর্ক করার পরেও ওই নারীর বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকায় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর কতিপয় স্থানীয় ব্যক্তি জোটবদ্ধ হয়ে গভীর রাতে ওই বাড়িতে হামলা চালান। হামলায় বাড়ির দরজা-জানালা, আসবাবপত্র এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে ওই নারীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয় স্থানীয় জনতা। পরে নারীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় এবং তার চুল কেটে দেয়।’

গোমস্তাপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


img

মালয়েশিয়ায় ৮২ প্রবাসীর আত্মসমর্পণ, ১৯ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ০৬:১১, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৮২ জন প্রবাসী স্বেচ্ছায় অভিবাসন দপ্তরে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনই বাংলাদেশি।

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজ্য অভিবাসন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ খান জানিয়েছেন, এসব ব্যক্তি ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন, যা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা সংক্রান্ত অপরাধ।

তিনি বলেন, তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন কারণ তারা দেশে ফিরে যেতে চেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে তারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন।

অভিবাসন দপ্তরের তথ্যানুসারে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ২৯ জন, বাংলাদেশি ১৯ জন এবং থাই নাগরিক ১৭ জন। এই তিনটি দেশ শীর্ষে রয়েছে। বাকিরা এসেছেন ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, সুদান, নাইজেরিয়া, লাওস ও ইরাক থেকে।

এছাড়া রাজ্যের প্রবেশপথে আরও তিনজন, দুইজন কম্বোডিয়ান ও একজন থাই নাগরিক ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৫ই লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছেন। এসব ধারা অনুযায়ী অপরাধ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান এবং অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া।

মোহাম্মদ ইউসুফ আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অভিবাসন বিভাগ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে মোট ৪৯৩ জন অননুমোদিত বিদেশি আটক হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে এবং নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়।

অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে সকল বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছেন বা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন, তারা যেন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন।

বাংলাদেশ এর আরও খবর