img

শ্রীমঙ্গলে ম্যাকনিছড়ার অন্ধকারে পানির সংগ্রাম

প্রকাশিত :  ১৭:০৯, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে ম্যাকনিছড়ার অন্ধকারে পানির সংগ্রাম
সংগ্রাম দত্ত: বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ও সমৃদ্ধ উপজেলা শ্রীমঙ্গল—যা পাহাড়, চা-বাগান ও সবুজের অপার সৌন্দর্যে ঘেরা। পর্যটন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকে শ্রীমঙ্গলকে অনেকেই দেশের যেকোনো বিভাগীয় সদর দপ্তরের চেয়েও উন্নত মনে করেন।

তবে এই উন্নয়নের আলো এখনো পৌঁছায়নি উপজেলার প্রান্তিক জনপদ ম্যাকনিছড়া চা বাগানে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ নেই, সুপেয় পানি নেই, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় প্রতিদিন পাহাড়ি ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যান, কারণ বাগানে কোনো পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল যে, বাজার-সদাই বা কোনো রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হলে তাদের নির্ভর করতে হয় হরিণছড়া বাগান বা শ্রীমঙ্গল শহরের ওপর।

অবাক করার মতো বিষয় হলো—যেখানে শ্রীমঙ্গল আজ পর্যটন, ব্যবসা ও শিক্ষার দিক থেকে দেশের অন্যতম উন্নত এলাকা, সেখানে এরই এক প্রান্তে মানুষ এখনো অন্ধকারে, অবহেলায় ও মৌলিক চাহিদার ঘাটতিতে জীবনযাপন করছে।

ম্যাকনিছড়ার এই বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, উন্নয়নের আলো শুধু শহরে নয়—গ্রামেও ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা পায়।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

সিলেট লালদিঘিরপাড়ে হকার শেড তৈরি করল সিসিক

প্রকাশিত :  ১০:০০, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট নগরীর যানজট নিরসন ও সড়ক-ফুটপাত হকারমুক্ত করার লক্ষ্যে লালদিঘিরপাড়ে অস্থায়ী হকার শেড তৈরি করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। ভ্রাম্যমাণ হকারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মিত এই অস্থায়ী বাজারে কোনো ভাড়া ছাড়াই ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হকাররা সেখানে ব্যবসা শুরু করেছেন।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অনেক হকারকে নতুন শেডে তাদের পসরা সাজাতে দেখা যায়।

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দখল করে হকারদের ব্যবসার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলেও ভোগান্তি বেড়ে যায়। এই সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে সিসিক নগরভবনের পেছনে লালদিঘিরপাড় মাঠে হকারদের জন্য স্থাপন করেছে অস্থায়ী বাজার।

নতুন বাজারে দশটি গলিতে ইট, বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বাজারে প্রবেশের জন্য রাখা হয়েছে তিনটি প্রবেশপথ।

এছাড়া নির্মিত হয়েছে নতুন রাস্তা ও ড্রেন। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে টয়লেটও।

কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিক ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ উদ্যোগে মাইকিংয়ের মাধ্যমে হকারদের সচেতন করা হচ্ছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘নগরী যানজটমুক্ত ও নাগরিকদের নির্বিঘ্ন চলাচলের স্বার্থে আমরা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য লালদিঘিরপাড়ে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেছি। ব্যবসায়ীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো হকারের কাছ থেকে আমরা ভাড়া নিচ্ছি না- কাউকে কোনো টাকা দিতে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘লালদিঘিরপাড়ের অস্থায়ী বাজারটি হকারদের জন্য নিরাপদ ও সুবিধাজনক আশ্রয় হবে। আশা করি তারা এখানেই ব্যবসা চালিয়ে যাবেন। এতে নগরীর যানজট কমবে, ফুটপাত হবে দখলমুক্ত, আর সিলেট নগরী হবে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল।’

সিলেটের খবর এর আরও খবর